Budget 2024: বাজেটে নির্মলার কাছে টেলিকমের আর্জি

নয়াদিল্লি : আধুনিক জীবনযাত্রায় ক্রমশ ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। চাহিদা বাড়ছে টেলিকমে, বিশেষত ওয়্যারলেস পরিষেবায়। তাই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের কাছে ডিজিটাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রোভাইডর্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিপা)…

Telecom Industry's Wishlist for Budget 2024

নয়াদিল্লি : আধুনিক জীবনযাত্রায় ক্রমশ ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। চাহিদা বাড়ছে টেলিকমে, বিশেষত ওয়্যারলেস পরিষেবায়। তাই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের কাছে ডিজিটাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রোভাইডর্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিপা) আজি, আসন্ন বাজেটে ( Budget 2024) কর কাঠামোয় সংস্কারের পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছে । ডিজিটাল পরিষেবা বিস্তারের অন্যতম খুঁটি এই পরিকাঠামো নির্মাতা সংস্থাগুলি। এই সংগঠনের বক্তব্য, দেশ জুড়ে মোট ৭,৭০ লক্ষ টেলিকম টাওয়ার রয়েছে।

যেখানে অ্যান্টেনা-সহ আনুষঙ্গিক যন্ত্রের (বিটিএস) মাধ্যমে ২জি, ৪জি ও ৫জি পরিষেবা দিচ্ছে বিভিন্ন পরিষেবা প্রদানকারীরা। বর্তমান জীবন অপরিহার্য সেই পরিষেবা বিস্তারে একগুচ্ছ আর্জি জানিয়েছে তারা।

   

কয়েক মাসের মধ্যে লোকসভা ভোট আর ভোটের পরে নতুন সরকার পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করবে ৷ তবে নতুন অর্থবর্ষের প্রথম তিন-চার মাস কাজ চালাতে অন্তরবর্তী ভোট অন অ্যাকাউন্ট বাজেট পেশ করা হয়৷ তবে প্রচলিত রীতি অনুযায়ী এই ধরনের বাজেটে তেমন কিছু ঘোষণা করা যায় না৷
তবুও অর্থমন্ত্রীর প্রতি এই সংগঠনের আর্জি, তাদের ক্ষেত্রেও কাঁচামাল বা যন্ত্র কেনার জন্য আগে মেটানো করের টাকা ফেরতের সুবিধা ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট ( আইটিসি) চালু করার।

দাবি, ২০১৬ সালের খসড়া আইনে টেলিকম টাওয়ার-ও আইটিসি-র আওতায় রাখা হয়েছিল। তা কার্যকর না হওয়ায় সরকারের জিএসটি চালু করার প্রাথমিক লক্ষ্যকেই ব্যর্থ হয়। কারণ কোনও ক্ষেত্রে পরের ধাপে করের হার বইতে হবে না এবং টেলিকম টাওয়ার সহ সমস্ত ধরনের যন্ত্র কেনার ক্ষেত্রে আইটিসি কার্যকর হবে, সেটাই ছিল জিএসটির মূল লক্ষ্য।

এ ক্ষেত্রে একটি সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেছে ডিপা। জানিয়েছে, শিল্পে ব্যবহৃত যন্ত্রের (প্লান্ট অ্যান্ড মেশিনারি) উপরে জিএসটি মেলে। কিন্তু তার আওতায় রাখা হয়নি টাওয়ারকে। তাই ওই যন্ত্রের সংজ্ঞা বদলেরও আর্জি জানিয়েছে তারা।

সংস্থার করের হিসাব করার ক্ষেত্রে স্থাবর সম্পত্তির সম্পদমূল্যের যে অবমূল্যায়ন হয়েছে, তার অঙ্ক আয় থেকে বাদ দিয়ে করযোগ্য আয়ের হিসাব কষা হয়। টাওয়ারের ব্যাটারি- সহ কিছু যন্ত্রাংশের ক্ষেত্রে সেই ১৫% অবমূল্যায়ন ধরা হয় এখন। সেই হার বাড়িয়ে ৬৫% করার আর্জি জানিয়েছে এই সংগঠন। যাতে তিন বছরেই সেগুলির খরচের প্রায় পুরোটা উঠে আসে। তখন সেগুলি বদলের প্রয়োজন পড়বে। যা দূষণ হ্রাসেও সাহায্য করবে। পাশাপাশি জ্বালানি হিসাবে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ ও ডিজেল ক্রয়ের ক্ষেত্রে উৎসমূলে কর কাটার (টিডিএস) ব্যবস্থার সরলীকরণের আর্জি জানিয়েছে সংগঠনটি।