Chandrayaan 3: সোভিয়েত-আমেরিকা-চিন সাহস করেনি, চাঁদের দ: মেরু ভয়াবহ

রুদ্ধশ্বাস প্রহর কাটছে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের। বিশ্বজুড়ে মহাকাশ বিজ্ঞানের মানমন্দির ও গবেষণা কেন্দ্রগুলোতে নাওয়া খাওয়া কোনওরকমে চলছে। কী হয় কী হয় এমনই আলোচনা। যে চাঁদের অংশে…

রুদ্ধশ্বাস প্রহর কাটছে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের। বিশ্বজুড়ে মহাকাশ বিজ্ঞানের মানমন্দির ও গবেষণা কেন্দ্রগুলোতে নাওয়া খাওয়া কোনওরকমে চলছে। কী হয় কী হয় এমনই আলোচনা। যে চাঁদের অংশে কোনও দেশ যেতেই পারেনি সেখানে ভারতের রোবট বিজ্ঞানী প্রজ্ঞানকে নিয়ে চক্কর কাটছে বিক্রম। ভারতের এই চন্দ্রাভিযানের (Chandrayaan 3) সবথেকে চর্চিত দিকটি হলো, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে কেউই পারেনি নামতে। সর্বশেষ চেষ্টা করেছিল রাশিয়া। তাদের লুনা ২৫ ধংস হয়েছে। চোখের সামনে লুনার মৃত্যু দেখেছে প্রজ্ঞান। এবার তার পরীক্ষা। হয় জয়ের ইতিহাস না হয় পরাজয়ের গ্নানি এই সীমারেখায় দুলছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা।

চাঁদে এর আগে সফল অভিযান করেছিল অধুনালুপ্ত সমাজতান্ত্রিক-কমিউনিস্ট দেশ সোভিয়েত ইউনিয়ন। তাদের প্রতিপক্ষ ধনতান্ত্রিক আমেরিকা। আর ‘কমিউনিস্ট’ দেশ চিন। তবে তাদের অভিযান ছিল চাঁদের উত্তর মেরু। আর মিশ্র অর্থনীতির দেশ ভারত বেছে নিয়েছে চাঁদের দক্ষিণ মেরু। চাঁদের এই অংশ ভয়াবহ। এখানেই সদ্য জ্বলে গেছে রাশিয়ার লুনা।

   

চন্দ্রযান-৩ এর প্রস্তাবিত প্রাইমারি ল্যান্ডিং সাইটের (পিএলএস) কাছে ভূতাত্ত্বিক ঘটনা নিয়ে অনুসন্ধান করবে। চাঁদের এবড়োখেবড়ো ভূখণ্ডের দক্ষিণ মেরু কোটি কোটি বছর ধরে চিরস্থায়ী অন্ধকারের ছায়ায় তলিয়ে আছে। যেখানে তাপমাত্রা কম। গবেষকরা আগে জলের উপস্থিতি আবিষ্কার করেছিলেন। ২০০৯ সালে, চন্দ্রযান -১ এর চাঁদের প্রভাব অনুসন্ধান এবং হাইপার স্পেকট্রাল ইমেজিং ক্যামেরা সহ নাসা এর মুন মিনারোলজি ম্যাপার চন্দ্রের মেরুতে জলের অণুর উপস্থিতি ঘোষণা করেছিল।

গবেষকরা চন্দ্রযান-৩ এর প্রস্তাবিত পিএলএস-এর কাছাকাছি অগভীর চাঁদের কম্পন সৃষ্টিকারী সাম্প্রতিক সক্রিয় সিসমিক লোবেট স্কার্পের উপর আলোকপাত করেছেন।
স্কার্প কি?
অর্ধ শতাব্দী আগে, অ্যাপোলো নভোচারীরা চন্দ্রপৃষ্ঠে ক্ষণস্থায়ী সিসমোমিটার রেখেছিলেন। তারা আবিষ্কার করেছিল যে চাঁদ জীবিত। ভূপৃষ্ঠের গভীরে কিছু কম্পন সম্ভবত পৃথিবীর মহাকর্ষীয় টানের কারণে হয়েছিল। অন্যগুলো ছিল উল্কাপিণ্ডের প্রভাব থেকে কম্পন। বেশ কয়েক বছর পর, গবেষকরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে অভ্যন্তরীণ তাপ এবং পৃথিবীর মহাকর্ষীয় টানের সংমিশ্রণে এই ধরনের ভূমিকম্পগুলি শুরু হয়েছিল।

চাঁদের পৃষ্ঠের সংকোচনের কারণে চন্দ্রের ভূত্বক একসাথে ধাক্কা দিলে লোবেট স্কার্প তৈরি হয়। এটি একটি থ্রাস্ট ফল্ট বা লোবেট স্কার্প গঠন করে কাছাকাছি-পৃষ্ঠের উপাদানগুলিকে ভেঙে দেয়। চন্দ্রযান-৩ এর প্রস্তাবিত অবতরণ সাইটে এই ধরনের লোবেট স্কার্পগুলির উপস্থিতি এবং এর সম্ভাব্য পরিণতিগুলি সম্প্রতি একটি গবেষণা পত্রে আলোকিত করা হয়েছে।