ভুয়ো তথ্য পরিবেশন করার অভিযোগে ২২টি ইউটিউব (YouTube) চ্যানেল বন্ধ করে দিল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। এই ২২টির মধ্যে ১৮টি ভারতের এবং ৪টি পাকিস্তানের ইউটিউব চ্যানেল।
কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১-এর অধীনে এই ইউটিউব চ্যানেলগুলি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ইউটিউব চ্যানেলগুলি দেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও বৈদেশিক সম্পর্ক নিয়ে একের পর এক ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছিল ও আপত্তিজনক পোস্ট করছিল। সে কারণেই ওই ইউটিউব চ্যানেলগুলিকে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক জানিয়েছে, ইউটিউব চ্যানেলগুলি ছাড়াও তিনটি ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট, একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও একটি ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যে ২২টি ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ করা হয়েছে তার দর্শক সংখ্যা ছিল ২৬০ কোটিরও বেশি বলে জানিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। কেন্দ্র জানিয়েছে, দেশের নিরাপত্তার মতো বিভিন্ন স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে ওই ইউটিউব চ্যানেলগুলি একের পর এক বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখার পর তার সত্যতা প্রমাণ হয়। সে কারণেই ওই ইউটিউব চ্যানেলগুলি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের যে চারটি ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ করা হয়েছে সেখান থেকে মূলত ভারত বিরোধী বিভিন্ন খবর ছড়ানো হচ্ছিল।
অন্যদিকে দেশের ইউটিউব চ্যানেলগুলি সেনাবাহিনী ও জম্মু ও কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে একের পর এক ভুয়ো খবর প্রকাশ ও বিভ্রান্তিকর পোস্ট করতো। কয়েকটি ইউটিউব চ্যানেল ইউক্রেনের বিষয়েও গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছিল। এদের উদ্দেশ্য ছিল, ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের সুসম্পর্ককে নষ্ট করা। উল্লেখ্য, এর আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক ৭৮ ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ করে দিয়েছিল।