Israel on Alert: যে কোনও মুহূর্তে ইরানি হামলার আশঙ্কায় ইজরায়েলে চূড়ান্ত প্রস্তুতি, তেল বাজারে অস্থিরতা

ইরানি ক্ষেপনাস্ত্র হামলার আশঙ্কায় চরম সতর্কতা (Israel on Alert) জারি করল ইজরায়েল সরকার। ইজরায়েলি সেনা হামলা রুখতে অবস্থান নিতে শুরু করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দৈনিক ওয়াল…

ইরানি ক্ষেপনাস্ত্র হামলার আশঙ্কায় চরম সতর্কতা (Israel on Alert) জারি করল ইজরায়েল সরকার। ইজরায়েলি সেনা হামলা রুখতে অবস্থান নিতে শুরু করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান থেকে ইজরায়েলের ওপর সরাসরি হামলা আসন্ন বলে মনে করা হচ্ছে। এই হামলা পরবর্তী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হতে পারে। ইরানের দক্ষিণ বা উত্তর অংশকে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে ইরান।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানাচ্ছে, ইরান সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একজন ব্যক্তি জানান, হামলার পরিকল্পনা সম্পর্কে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। অবশ্য হামলা নিয়ে দেশটির নেতাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির একজন উপদেষ্টা বলেছেন, হামলার পরিকল্পনা সুপ্রিম লিডারের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে। তিনি এখন এর রাজনৈতিক ঝুঁকির কথা ভেবে দেখছেন।

তেহরান থেকে খামেনির হুঁশিয়ারি “দূতাবাসে হামলা করে ইজরায়েল যেন ইরানের মাটিতেই হামলা চালিয়েছে। তারা একটি ভুল করেছে। এর শাস্তি তাদেরকে পেতেই হবে।

বিবিসি’র খবর গত সপ্তাহে সিরিয়ায়  ইরানি দূতাবাসে বিমান হামলা চালিয়ে দুই শীর্ষ কমান্ডারসহ ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের সাত সদস্যকে মেরেখে ইজরায়েল বলে অভিযোগ। মার্কিন গোয়েন্দারা ইঙ্গিত করছেন, ইরান মধ্যপ্রাচ্যের অন্য কোথাও মার্কিন বা ইজরায়েলি লক্ষ্যবস্তু ছেড়ে সরাসরি সম্ভবত ইজরায়েল দেশটির মাটিতেই হামলার দিকে মনোনিবেশ করছে।

হামলার আশঙ্কায় ইজরায়েলের মার্কিন দূতাবাস বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করে কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের রাজধানীর কেন্দ্রীয় এলাকার বাইরে ভ্রমণ না করার জন্য সতর্ক করেছে। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনও ইজরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি  ইজরায়েলের প্রতিরক্ষার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্টের সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। 

মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় এ অঞ্চলের দেশগুলোকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া ও জার্মানি।  মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে জার্মানির এয়ারলাইন্স লুফথানসা প্রথমে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ইরানে যাওয়া-আসার ফ্লাইট স্থগিত করেছিল। স্থগিতাদেশ আরও দু’দিন বাড়িয়ে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত করেছে এয়ারলাইন্সটি।