শ্রাবণ মাস মানেই বাঙালির ক্যালেন্ডারে এক বিশেষ অধ্যায়—ইলিশের মরশুম।(Hilsa) ইলিশপ্রেমীদের জন্য এই সময়টা এক আবেগঘন প্রতীক্ষার, যখন সকাল সকাল মাছ বাজারে(Hilsa) গিয়ে চকচকে রুপোলি ইলিশ দেখে মন ভরে ওঠে। কিন্তু এ বছর সেই চেনা দৃশ্য বেশ কিছুটা ফিকে। শ্রাবণের অর্ধেক পেরিয়ে গেলেও বাজারে ইলিশের দেখা তেমন মিলছে না। কোথাও দামে আগুন, কোথাও আবার সরবরাহই প্রায় নেই।(Hilsa)
এর পেছনে বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আবহাওয়া। জুনের শেষ থেকে(Hilsa) জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে লাগাতার নিম্নচাপ আর গভীর সাগরে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে যেতে পারেননি। প্রবল ঢেউ, ঝোড়ো হাওয়া আর সতর্কবার্তার জেরে মাছ ধরার ট্রলারগুলি গৃহবন্ধ হয়ে ছিল। এমনকি যখন মাঝেমধ্যে কিছু ট্রলার সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিল, তখনও সেভাবে ইলিশের ঝাঁক ধরা পড়েনি জালে। ফলে বাজারে রুপোলি শস্যের সরবরাহ কমে যায় এবং দাম আকাশছোঁয়া(Hilsa) হয়ে ওঠে।
তবে সব দুঃসংবাদ পেছনে ফেলে এখন ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। (Hilsa) আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণবঙ্গে আপাতত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বরং বৃষ্টিপাত ক্রমশ কমবে এবং আবহাওয়া স্বাভাবিক হবে। এই খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মৎস্যজীবীদের মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে।(Hilsa)
বুধবার থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফ্রেজারগঞ্জ, কাকদ্বীপ, নামখানা(Hilsa) এবং মোহনার দিক থেকে বহু ট্রলার সমুদ্রের দিকে রওনা দিয়েছে। লক্ষ্য একটাই—ইলিশ ধরা। মৎস্যজীবীরা মনে করছেন, এ বার আর খালি হাতে ফিরতে হবে না। আবহাওয়ার উন্নতি এবং পূর্ণ কটালের উপস্থিতিতে আগামী কয়েক দিনে সমুদ্রে ইলিশের ঝাঁক দেখা যেতে পারে।(Hilsa)
সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী কল্যাণ সমিতির(Hilsa) সম্পাদক সতীনাথ পাত্র জানান, “গত এক মাসে সমুদ্রে ঝুঁকি নিয়েও অনেকে গিয়েছিলেন, কিন্তু ইলিশ ছিল না বললেই চলে। তবে আবহাওয়ার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে আমরা আবার সমুদ্র যাত্রা শুরু করেছি। আশা করি এবার হাতে ভরেই ফিরব।”(Hilsa)
গত মঙ্গলবার মৎস্যজীবীদের কয়েকটি ট্রলার ৪০০ টন ইলিশ নিয়ে ফিরেছিল, যদিও তা ছিল একপ্রকার দুর্যোগের মধ্যেই। এবার পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে অনেকটাই ভালো। আশা করা হচ্ছে, সোম বা মঙ্গলবার নাগাদ যখন ট্রলারগুলি ঘাটে ফিরবে, তখন তাতে ইলিশে বোঝাই থাকবে।(Hilsa)
বাজারে ইলিশের ঘাটতি কবে কাটবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও মৎস্যজীবীদের ভরসা রয়েছে এই যাত্রায়। তাঁরা মনে করছেন, সমুদ্র থেকে ফেরার পরে অন্তত কিছুটা হলেও বাজারে ইলিশের সরবরাহ বাড়বে। ফলে সাধারণ মানুষের নাগালেও আসতে পারে প্রিয় রুপোলি মাছ।(Hilsa)
সার্বিকভাবে, শ্রাবণের শেষভাগে এসে ইলিশপ্রেমীরা কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারেন। বাজারে ইলিশের গন্ধে ভরে উঠবে সকালবেলা, আবারও রান্নাঘরে ইলিশ ভাপা, ইলিশ পাতুরি, সরষে ইলিশের গন্ধ ছড়াবে। আপাতত সকলের চাওয়া—সমুদ্র যেন আর রুদ্র রূপ না দেখায়, আর ইলিশে ভরে ওঠে গোটা বাংলা।(Hilsa)