Edible Oil: ভোজ্যতেলে আমদানি শুল্ক বাড়ছে না

জিনিসপত্রের যা বাজার দর তাতে প্রতিদিন খেয়ে পরে বেচে থাকতে গিয়ে মধ্যবিত্তের মাথায় হাত৷ সেখানে কিছুটা স্বস্তির কথা শোনা গেল ভোজ্যতেলে (Edible Oil) আমদানি শুল্ক…

Edible Oil

জিনিসপত্রের যা বাজার দর তাতে প্রতিদিন খেয়ে পরে বেচে থাকতে গিয়ে মধ্যবিত্তের মাথায় হাত৷ সেখানে কিছুটা স্বস্তির কথা শোনা গেল ভোজ্যতেলে (Edible Oil) আমদানি শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে না৷ ফলে আশা করা যেতেই পারে ভোজ্য তেলের আপাতত দাম বাড়ছে না ৷ বিভিন্নমহলের ধারণা আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে ঘরোয়া বাজারে ভোজ্য তেলের দাম মাথাচাড়া দিক চাইছে না কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। তাই আপাতত ভোজ্যতেলে আমদানি শুল্ক বাড়ানো পথে হাঁটতে চাইছে না এই সরকার৷

কম শুল্কে ভোজ্য তেল আমদানির সময়সীমা ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত করেছে কেন্দ্র। এই মর্মে সোমবার এক নির্দেশিকায় এ কথা জানানো হয়েছে। স্থানীয় বাজারে ভোজ্য তেলের দরে রাশ রাখতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বের সব থেকে বড় ভেজিটেবল অয়েল আমদানিকারী দেশ ৷ অশোষিত পাম অয়েল সূর্যমুখী তেল এবং সয়াবিন তেলের কম শুল্কে আমদীনির মেয়াদ চলতি বছরের মার্চে শেষ হওয়ার কথা ছিল।

ভেজিটেবল অয়েল ব্রোকারেজ সংস্থা সানভিন গোষ্ঠীর সিইও সন্দীপ বাজোরিয়ার বক্তব্য, ‘‘নির্বাচনের আগে ঘরোয়া বাজারে ভোজ্য তেলের দরে নিয়ন্ত্রণ রাখতে কেন্দ্র এই সিদ্ধান্ত নেবে তা প্রত্যাশিতই ছিল।’’ আবার সলভেন্ট এক্সট্যাক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার ইডি বি ভি মেহতা বলেছেন, ‘‘কেন্দ্র ভোজ্য তেলের দাম স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্য নিলেও দীর্ঘমেয়াদে এই নীতি স্থানীয় তৈলবীজ উৎপাদনকারীদের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে।’’ কম দামে ভোজ্যতেল আমদানি বাড়লে বেশি দামে তৈলবীজ কিনে চাষ করার ব্যাপারে উৎসাহ হারাবে চাষিরা। এমনিতেই মোট ভোজ্য তেলের চাহিদার ৬৬ শতাংশ আমদানি করে মেটানো হয়৷ এমন চললে অন্য ফসল ফলানো চাষিদের কাছে বেশি লাভদায়ক মনে হতে পারে।

প্রসঙ্গত, ভারত প্রধানত ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং থাইল্যান্ড থেকে পাম তেলের উত্স সংগ্রহ করে, আবার সোয়া অয়েল এবং সূর্যমুখী তেলের আমদানি আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, রাশিয়া এবং ইউক্রেন থেকে আসে। ডিসেম্বরে, প্রতিযোগিতামূলক মূল্যের কারণে পরিশোধিত পাম অয়েলের ক্রয় বৃদ্ধির কারণে ভারতের পাম তেলের আমদানি চার মাসের সর্বোচ্চে পৌঁছেছিল।