এক দেশ এক ভোটের পক্ষে বণিকসভা CII

একসঙ্গে কেন্দ্র এবং রাজ্য স্তরে নির্বাচনের নীতিকে সমর্থন জানাল বণিকসভা কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (CII) ৷ মূলত কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির প্রস্তাব দিয়েছে ‘এক দেশ এক…

One Nation, One Election to improve govt efficiency, foster economic development: CII

একসঙ্গে কেন্দ্র এবং রাজ্য স্তরে নির্বাচনের নীতিকে সমর্থন জানাল বণিকসভা কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (CII) ৷ মূলত কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির প্রস্তাব দিয়েছে ‘এক দেশ এক ভোট করার কথা৷ এবার এই বণিকসভার বার্তা দিল , এই পথেই শাসনের দক্ষতা বাড়াবে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে। কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই) সম্প্রতি এই সংক্রান্ত উচ্চ-স্তরের কমিটিতে তাদের মতামত পেশ করেছে। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দের সভাপতিত্বে এই উচ্চ স্তরের কমিটি পঞ্চম বৈঠক করেছে।

সিআইআইয়ের ডিজি চন্দ্রাজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জানিয়েছেন, আর্থিক ক্ষতি ও নীতি-নির্ধারণে দেরির প্রেক্ষিতে বণিকসভা একসঙ্গে ভোট করানোর পরামর্শ দিয়েছে। সেই মতো প্রতি পাঁচ বছরে লোকসভা ও রাজ্যের ভোট একসঙ্গে একবার করে হতে পারে। অথবা লোকসভা ভোটের আড়াই বছর পরে রাজ্যগুলিতে বিধানসভা ভোট আবার আড়াই বছর পরে লোকসভা ভোট— এ ভাবেও হতে পারে।

এদিতে এই প্রসঙ্গে বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছেন, আর্থিক বা প্রশাসনিক সুবিধার আড়ালে আসলে চাপা পড়ে যাচ্ছে রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক কাঠামোর প্রয়োজনীয়তার কথা। ‘এক দেশ এক ভোট’ বিরোধী দল ভাঙানো এবং দলত্যাগকে উৎসাহ দিতে পারে। অন্যদিকে সিআইআইয়ের দাবি, একসঙ্গে ভোট হলে সরকারের যেমন প্রশাসনিক দক্ষতা বাড়বে তেমনই আবার আর্থিক উন্নয়নে গতি আসবে। বিভিন্ন সময়ে ভোটের জন্য ঘন ঘন নীতি বদলের আশঙ্কা থাকে।

তাছাড়া আমলারা ভোটে যুক্ত হওয়ায় সরকারের কাজে প্রভাব পড়ে। ভোটের আগে বেসরকারি ক্ষেত্রের লগ্নির সিদ্ধান্ত ঢিমে হয়। ভোটের সময় আচরণ বিধির জন্য প্রকল্প রূপায়ণেও দেরি হয়। একসঙ্গে ভোট হলে খরচ কম হয় তাহলে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির প্রশাসনিক খরচ প্রায় অর্ধেক বাঁচতে পারে।