৪৫৬ বিনিয়োগে ৪ লক্ষ টাকা লাভ! মোদী সরকারের এই প্রকল্পে হবেন মালামাল

মোদী সরকার জনগণের ভবিষ্যত সুরক্ষিত করার জন্য পেনশন প্রকল্পের পাশাপাশি বীমা প্রকল্পও চালু করেছে। মোদী সরকার তার প্রথম মেয়াদে বীমা কভারের জন্য দুটি প্রকল্প চালু…

মোদী সরকার জনগণের ভবিষ্যত সুরক্ষিত করার জন্য পেনশন প্রকল্পের পাশাপাশি বীমা প্রকল্পও চালু করেছে। মোদী সরকার তার প্রথম মেয়াদে বীমা কভারের জন্য দুটি প্রকল্প চালু করেছিল। একটি প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি প্রকল্প এবং অপরটি প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনা। এর মাধ্যমে নামমাত্র প্রিমিয়াম জমা দিয়ে ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বীমার সুবিধা পেতে পারেন সাধারণ মানুষ।

প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বীমা যোজনা

   

১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সের মানুষরা এই প্রকল্পের লাভ গ্রহণ করতে পারেন। মাত্র ৪৩৬ টাকা দিয়ে এক বছরের জন্য জীবন বীমা করা যায়। যার নামে পলিসি তাঁর মৃত্যুতে ২ লাখ টাকার বীমা কভারেজ পাওয়া যায়। এই বীমা এক বছরের জন্য বৈধ এবং প্রতি বছর এটি পুনর্নবীকরণযোগ্য।

এই প্রকল্পে বীমার সময়কাল হচ্ছে প্রতি বছরের ১লা জুন থেকে পরবর্তী বছরের ৩১শে মে পর্যন্ত। অটো ডেবিট সুবিধার মাধ্যমে প্রতি বছর ৩১শে মে বা তার আগে অ্যাকাউন্ট থেকে প্রিমিয়ামের পরিমাণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডেবিট হয়ে যাবে। পোস্ট অফিস বা ব্যাঙ্কে থাকা সেভিংস অ্যাকাউন্ট থেকেই এই বীমার টাকা কেটে নেওয়া হয়।

এই প্রকল্পে বীমাকৃত ব্যক্তির মৃত্যুর ক্ষেত্রে, পলিসির নমিনিকে দেওয়া হয় ২ লাখ টাকা। এই স্কিমের জন্য দেওয়া প্রিমিয়াম, আয়কর আইনের ধারা 80C অনুযায়ী সম্পূর্ণ করমুক্ত। এই স্কিমটি প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনা প্রকল্পের অধীনে খোলা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলির সঙ্গেও লিঙ্ক করা যায়। শুধুমাত্র সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে অটো ডেবিট সুবিধার মাধ্যমে আপনি প্রতি বছর রিনিউ করা যায়।

প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনা

প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনায়, দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর ক্ষেত্রে ২ লাখ টাকা এবং স্থায়ী অক্ষমতার ক্ষেত্রে ১ লাখ টাকা পাওয়া যায়। যার নামে ওই বীমা থাকে তার পরিবারকে এই অর্থ দেওয়া হয়। বছরে মাত্র ২০ টাকা প্রিমিয়াম দিয়ে এই বীমার সুবিধা পাওয়া যায় ।দেশের ১৮ থেকে ৭০ বছর বয়সীরা এই যোজনার জন্য আবেদন করতে পারেন।

যাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে তারাই এই সুবিধা পেতে পারেন। যদি কারোর একাধিক ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট থাকে তাহলে তিনি একটি মাত্র আকাউন্ট থেকে এই সুবিধা নিতে পারবেন। তবে, যদি কারোর জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট থাকে তাহলে দুজনেই আলাদা আলাদা করে এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।ব্যাঙ্কে গিয়ে বা নেট ব্যাঙ্কিং-এর মাধ্যমে আবেদন করা যায়।

এই প্রকল্পর হিসাব করা হয় ১ জুন থেকে পরের বছরের ৩১ মে পর্যন্ত। যারা এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করবেন তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ওই টাকা কেটে নেওয়া হবে। তাই যারা এর জন্য নাম নথিভুক্ত করতে চান তাঁদের সেটা করতে হবে প্রতি বছর ৩১ মের আগে।