আইনের তোয়াক্কা না করেই খোলা বাজারে এখন রমরমিয়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০০ গ্রামেরও কম ওজনের ছোট ইলিশ (Hilsa) । বিশেষ করে সামনে বিশ্বকর্মা ও রান্নাপুজো তাই এই সময়ে ইলিশের চাহিদা থাকে ব্যাপক। ফলে অসাধু ব্যবসায়ীরা দেদার বিকোচ্ছে ইলিশ।
পাশাপাশি দুর্গাপুজোর আগে সেই ছোট ইলিশে Hilsa বাজার কার্যত ছেয়ে গিয়েছে। দাম তুলনামূলক কম, ফলে সাধারণ ক্রেতার আকর্ষণও বেশি। অথচ এই ছোট ইলিশHilsa ধরা ও বিক্রি করা আইনত অপরাধ। মৎস্য দপ্তরের তরফে বহুবার ঘোষণা করা হয়েছে, ২৩ সেন্টিমিটারের কম দৈর্ঘ্যের ইলিশ ধরা ও বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। পাশাপাশি ৯০ মিলিমিটারের কম ফাঁসের জাল ব্যবহার করাও আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
সরকারি সূত্রে খবর, ইলিশের প্রজনন মরশুমে এবং ডিম ছাড়ার সময় ছোট ইলিশ ধরা বন্ধ রাখা অত্যন্ত জরুরি। ইলিশ মাছ ২৩ সেন্টিমিটার বা তার বেশি আকারে পৌঁছালে ডিম ছাড়ে এবং প্রজনন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়। ছোট ইলিশ ধরা হলে ওই মাছটির প্রজনন হওয়ার আগেই তা নদী বা সাগর থেকে হারিয়ে যায়। এর ফলে ইলিশের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও উৎপাদন কমে যায়, যা আগামী দিনের জন্য বড়সড় বিপদ। মৎস্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এভাবে চলতে থাকলে কয়েক বছরের মধ্যে ইলিশের সংখ্যা বিপজ্জনকভাবে কমে যেতে পারে।
ছোট ইলিশের চাহিদা বাজারে সব সময়ই থাকে। দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় সাধারণ ক্রেতারা সহজেই কিনছেন। ফলে অসাধু মৎস্যজীবীদের লোভ আরও বাড়ছে। এই লোভের জালেই ফেঁসে যাচ্ছে ইলিশের ভবিষ্যৎ।এর ফলে সৎ ও নিয়ম মেনে কাজ করা মৎস্যজীবীরা সমস্যায় পড়ছেন। যাঁরা আইন মেনে বড় ইলিশ ধরার চেষ্টা করছেন, তাঁদের অভিযোগ— এই অসাধু মৎস্যজীবী ও ব্যবসায়ীদের জন্য পুরো মৎস্যজীবী সমাজের বদনাম হচ্ছে।