সম্প্রতি প্রয়াত হয়েছেন রতন টাটা। ভারত তথা বিশ্বে রতন টাটা একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র। তার জীবন বহু মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে এবং ভারতবর্ষের কর্মসংস্থানে তার অবদান মানুষ কখনোই ভুলতে পারবেনা। এমনকি ভারতের অর্থনীতিতেও তার অবদান অনস্বীকার্য। তার ব্যাক্তিগত জীবন সম্পর্কে মানুষের ধারণা খুবই কম। প্রয়ানের পর তার ব্যাক্তিগত জীবন সম্পর্কে উঠে এসেছে নানা ঘটনা, এবার জানা গেলো তার উইলে মোহিনী মোহন দত্ত র নাম, যার নামে লেখা আছে ৫০০ কোটি টাকার সম্পত্তি।
মোহিনী মোহন দত্ত একজন অপরিচিত শিল্পপতি, যিনি থাকেন জামশেদপুরে। সাল টা ১৯৬০ রতন টাটার সাথে মোহিনী মোহন দত্ত র প্রথম দেখা হয় জামশেদপুরের “ডিলার্স হটেলে।” সেই আলাপেই জীবনের অন্য রাস্তা খুঁজে পান মোহিনী মোহন। প্রথেমে তিনি কর্মসূত্রে তাজ গ্রুপের সাথে যুক্ত ছিলেন। বলা যেতে পারে সেখান থেকেই তার পথ চলা শুরু। তারপর তিনি স্ট্যালিওন ট্রাভেল এজেন্সী নাম একটি কোম্পানি খোলেন যাতে প্রায় ৮০ % শেয়ার ছিল টাটা ইন্ডাস্ট্রিজের। পরবর্তীকালে টাটা ইন্ডাস্ট্রিজ সংস্থাটি অধিগ্রহণ করে এবং সবচেয়ে বড় ট্রাভেল এজেন্সী থমাস কুক কে বিক্রি করে দেয়। বর্তমানে মোহিনী মোহন দত্ত টি সি ট্রাভেল সার্ভিসের কর্ণধার।
শোনাযায় রতন টাটা তাকে নিজের সন্তানের মতোই দেখতেন এবং যেহেতু রতন টাটা ব্যাক্তিগত জীবনে অকৃতদার ছিলেন তাই তার সম্পত্তির এই অংশটি তিনি মোহিনী মোহন দত্তকে দিয়ে গেছেন। মোহিনী মোহন দত্ত র মেয়ের জীবনও শুরু হয় তাজ গ্রুপ অফ হোটেলস থেকে এবং তিনি টাটা ট্রাস্টে ১০ বছর কাজ করেছেন। এমনকি ২০২৪ সালে রতন টাটার জন্ম বার্ষিকীতেও তাকে অতিথি হয়ে আসতে দেখা গেছে, যে অনুষ্ঠানে শুধু টাটা পরিবারের ব্যাক্তিগত পরিচিতরাই ছিলেন। এর থেকেই অনুমান করা যায় যে মোহিনী মোহন দত্ত টাটা পরিবারের কত ঘনিষ্ট ছিলেন।
রতন টাটা তার বিপুল সম্পদের বড় অংশ জনহিতকর কাজের জন্য দান করে গেছেন। তবে উইল অনুযায়ী, তার ব্যক্তিগত সম্পত্তির উল্লেখযোগ্য অংশ তিনি মোহিনী মোহন দত্তের নামে রেখে গেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ব্যাঙ্কে রাখা অর্থ এবং তার ব্যক্তিগত জিনিসপত্র, যা নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। নিলামের অর্থও দত্তের প্রাপ্য অংশে অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে জানা গেছে।