AI Bike: হাতের ইশারায় চলবে বাইক! বাজারে আসছে,কিনতে তৈরি হন

এবার নিজে নিজেই চলবে বাইক। শুধু হাতে ইশারা করলেই বাইকটি তার মালিককে নিয়ে যাবে নিজের গন্তব্যে। অত্যাধুনিক এই বাইকটি দুই চাকায় ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে…

Yamaha AI bike

এবার নিজে নিজেই চলবে বাইক। শুধু হাতে ইশারা করলেই বাইকটি তার মালিককে নিয়ে যাবে নিজের গন্তব্যে। অত্যাধুনিক এই বাইকটি দুই চাকায় ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে কারো সাহায্য ছাড়াই। নিজে নিজে পার্কিং করা, পার্কিং থেকে রাস্তায় বেরোনো থেকে শুরু করে এটি একা একাই চলতে পারবে। এছাড়াও বাইকটি তার মালিক কে চিনতেও পারবে ও মালিকের নির্দেশনা অনুযায়ী ইঞ্জিন বন্ধ করা কিংবা চালু করতে পারবে।

শুনতে অবিশ্বাস্য হলেও এমনই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন বাইক তৈরি করেছে জাপানের অটোমোবাইল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান yamaha। জাপানি সংস্থার অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বলে তৈরি এই বাইকটির নাম ইয়ামাহা মটরয়েড। এটি একটা সেলফ বেলান্সিং মোটরবাইক। ২০১৭ সালে এই বাইকটির প্রথম প্রজন্ম সামনে এনেছিল সংস্থাটি আর এবার বাইকের দ্বিতীয় প্রজন্ম নিয়ে কাজ শুরু করেছে yamaha। ইতিমধ্যে জাপান মবিলিটি শোতে হাজির করা হয়েছে সেই বাইক। যা দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন বহু মানুষ। জানা গেছে সচালিত এই মোটর বাইকে নেই কোন হ্যান্ডেল বা অন্যান্য প্রচলিত কন্ট্রোল সিস্টেম। সেলফ ব্যালেন্সিং এর জন্য মাঝখানে রয়েছে একটি সেন্টার কন্ট্রোল মাস সিস্টেম। বাইকের ভারসাম্য পুরোটাই এর ওপর নির্ভরশীল। AI কে ব্যবহার করা হয়েছে এই মটরয়েড সিস্টেম তৈরি করার জন্য।

রাইডারের সাথে বাইকের যোগাযোগ করার জন্য রয়েছে হিউম্যান মেশিন ইন্টারপ্রাইজ। যা দিয়ে নির্দেশ দেওয়া যাবে এমনকি দূর থেকে এই মোটর বাইককে ডেকে কাছে এনেও চড়তে পারবেন। রাস্তায় সব ছবি চেনার ক্ষমতা রয়েছে বাইকে থাকা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার। এর মধ্যে রয়েছে একটা দারুন সিস্টেম যার নাম দেওয়া হয়েছে জিংকি কারনোয়েড। ব্রেক চাপা এক্সেলারেশন সবই নিজে থেকে হবে বাইকে। চালকের কিছু করার থাকবে না। থাকবে না কোন লক থাকবে ফেস রেকগনাইজেশন অর্থাৎ চালকের মুখ স্ক্যান করেই চালু হয়ে যাবে মোটরবাইক। হ্যান্ডেল বারের জায়গায় থাকবে হ্যান্ডগ্রীপ। ইয়ামাহার দাবি অভিনব প্রযুক্তির কিক স্ট্যান্ড ব্যবহার করা হয়েছে এখানে। যার মাধ্যমে তৎক্ষণাৎ চালককে চিনে ফেলবে মোটরয়েড।

শুধু তাই নয় বাইকে চালক না থাকলেও এটি চলতে পারে। ইয়ামাহা দেখিয়েছে বাইকের সামনে দাঁড়িয়ে থাকলে তার হাতের ইশারায় চলে চালানো হতে পারে এই বাইক। ট্রাফিক সিগনালে একা একাই বাইকটি এগোবে। একজন এই মোটরসাইকেল কি ভাবে চালাবেন সে সম্পর্কিত তথ্য এখনো দেওয়া হয়নি। বোঝা যাচ্ছে আর পাঁচটা সাধারণ বাইকের মত নয় এই বাইক এটি একটি আলাদা মেশিন। ফলে এই মোটরসাইকেল এখন থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এই বাইক বাজারে এলে ব্যাপক সাড়া ফেলবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।