দিল্লি ইলেকট্রিক ভেহিকল পলিসি (EV Policy) আরও চার মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর), দিল্লি সরকার ঘোষণা করে যে পলিসিটি ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। ২০২০ সালে চালু হওয়া এই পলিসি তিন বছরের জন্য প্রযোজ্য ছিল। তবে এটি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বাড়ানো হয়েছে। এই মেয়াদ বাড়ানোর ফলে ইভি ক্রেতারা সাবসিডি ও ট্যাক্স রিলিফ সহ অন্যান্য সুবিধা আরও বেশ কয়েকমাস ধরে পাবেন।
Yamaha XSR 900 পেল নতুন ডিসপ্লে, আকর্ষণীয় লুকে হাজির এই রোডস্টার বাইক
EV Policy : দূষণ কমাতে ইভি ব্যবহারে উৎসাহ
দিল্লি সরকারের এই সিদ্ধান্ত এমন সময়ে এসেছে যখন শহর মারাত্মক দূষণের কবলে রয়েছে। সরকার ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ইলেকট্রিক ভেহিকল ব্যবহার বাড়ানোর চেষ্টা করছে, যাতে যানবাহন থেকে নির্গত ধোঁয়া কমানো যায়। দিল্লি সরকারের পরিবেশমন্ত্রী আতিশি জানান, শহরে ইভি রেজিস্ট্রেশনের হার ২০১৯-২০ সালের ৪ শতাংশ থেকে বেড়ে এখন ১২ শতাংশ হয়েছে, যা ভারতের মধ্যে সর্বোচ্চ।
তিনি আরও বলেন, “পলিসির মেয়াদ (EV Policy) ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আমি দিল্লির বাসিন্দাদের আহ্বান জানাই, ইলেকট্রিক ভেহিকল কিনুন এবং দূষণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অংশ নিন। দিল্লি সরকার দূষণের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে অঙ্গীকারবদ্ধ, আর ইভি পলিসি এই লড়াইয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।”
Ducati Streetfighter V4 উন্মোচিত হল, আরও শক্তিশালী ইঞ্জিন ও অত্যাধুনিক বৈশিষ্ট্যে সজ্জিত
EV Policy : প্রাপ্ত সুবিধা
দিল্লি ইলেকট্রিক ভেহিকল পলিসি ইভি ক্রেতাদের জন্য একাধিক সুবিধা প্রদান করে। এর আওতায় রয়েছে –
ইলেকট্রিক সাইকেলের উপর ৫,৫০০ টাকা পর্যন্ত ২৫ শতাংশ সাবসিডি।
ইলেকট্রিক রিকশার জন্য ৩০,০০০ টাকা।
ইলেকট্রিক টু-হুইলার এবং হালকা বাণিজ্যিক গাড়ির জন্য ৩০,০০০ টাকা।
নতুন ইলেকট্রিক কার কেনার জন্য ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনসেনটিভ।
তবে, ইলেকট্রিক কারে এই সুবিধা প্রথম এক হাজার ইউনিটের জন্য সীমাবদ্ধ ছিল। এটি এই মেয়াদ বাড়ানোর সঙ্গে বাড়ানো হবে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
দিল্লি সরকার বর্তমানে একটি নতুন এবং উন্নত ইভি পলিসি প্রণয়নের কাজ করছে। নতুন পলিসিতে আরও আগ্রাসী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, যার মধ্যে ইভি অবকাঠামো সম্প্রসারণ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
পান করা যাবে গঙ্গার জল, ছাড়পত্র আইআইটি কানপুরের
২০২০ সালে চালু হওয়া দিল্লি ইভি পলিসি (EV Policy) কার্বন নির্গমন কমানো এবং ব্যাটারি চালিত যানবাহনের সুবিধা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে শুরু হয়েছিল। ইতিমধ্যে শহরে ৪,০০০ ইভি চার্জিং পয়েন্ট যুক্ত করা হয়েছে এবং ৩০০টি ইলেকট্রিক বাস চলছে। ২০২৫ সালের মধ্যে ৮,০০০ ইলেকট্রিক বাস চালানোর লক্ষ্য দিল্লি সরকারের কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমানোর প্রচেষ্টায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।