মঙ্গলবার কংগ্রেস তামিলনাডুর রাজ্যপাল (Jayram Ramesh) আর এন রবিকে ধর্মনিরপেক্ষতার মন্তব্যকে ‘আপত্তিকর’ ও ‘অসাংবিধানিক’ বলে দাবি করে। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ রাজ্যপালের এই ‘অসম্মানজনক’ মন্তব্যের জন্য তার পদত্যাগের দাবি জানান। রাজ্যপাল রবির সাংবিধানিক পদে কর্মরত থাকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন জয়রাম। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে, রাজ্যপাল রবিকে ‘টায়ার বেলুন ফ্লোটার’ বলে অভিহিত করেন। প্রধানমন্ত্রী যা করতে চান রাজ্যপাল পদে বসে তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল তা প্রতিধ্বনিত করছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
গত সোমবার তামিলনাডুর রাজ্যপাল এই বিতর্কের সুত্রপাত ঘটান। তিনি অভিযোগ করেন, “প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থার সময়ে সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা প্রবর্তন করেছিলেন কিছু অংশের মানুষকে সন্তুষ্ট করতে। ভারত কীভাবে ধর্ম থেকে দূরে থাকতে পারে?” রবি কন্যাকুমারীর তিরুভাত্তরে হিন্দু ধর্ম বিদ্যা পীঠমের একটি সমাবর্তনে বলেছিলেন। ”ধর্মনিরপেক্ষতা একটি ভারতীয় ধারণা নয়, এটি একটি ইউরোপীয় ধারণা, এটি সেখানে থাকুক, তারা এতে খুশি থাকুক। ইউরোপে, ধর্মনিরপেক্ষতা এসেছিল কারণ সেখানে চার্চ এবং রাজার মধ্যে লড়াই ছিল। তারা শত শত বছর ধরে যে লড়াই চলে আসছে তা বন্ধ করতে চেয়েছিল। তাই তারা চার্চ এবং রাজার মধ্যে বিচ্ছেদকে সমর্থন করেছিল যাতে কোনও হস্তক্ষেপ না হয়। একে অপরের সাথে, ভারতে ধর্মনিরপেক্ষতার প্রয়োজন নেই” বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রাজ্যপাল রবির এই মন্তব্যের সমালোচনা করে ডিএমকে। ডিএমকে মুখপাত্র টিকেএস এলগোভান বলেন, “রাজ্যপালের সংবিধান পড়া উচিত। ধর্মের সচেতন স্বাধীনতা থাকা উচিত যা তিনি জানেন না। তার সংবিধানটি সম্পূর্ণভাবে পড়া উচিত। আমাদের সংবিধানে ২২টি ভাষা তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। হিন্দি এমন একটি ভাষা যা কয়েকটি রাজ্যে মূল ভাষা হিসাবে ব্যবহার করা হয়। বাকি রাজ্যগুলি অন্য ভাষায় কথা বলে। বিজেপির সমস্যা হল তারা না ভারত জানে, না সংবিধান।”
বিতর্কে নাম জড়ানো তামিলনাডুর রাজ্যপাল রবির এই ধরণের মন্তব্য প্রথমবার নয়, গত বছর তিনি বলেছিলেন যে যারা দেশকে ভাগ করতে চায় তারা ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণার ভুল ব্যাখ্যা করেছে। ফের আরও একবার ধর্মনিরপেক্ষতার মন্তব্যে অস্বস্তিতে তামিলনাডুর রাজ্যপাল আর এন রবি।