Apple AirTag: দুপুর ঠাকুরপোর আনাগোনা চলছে বাড়িতে? জলদি নিন বউ পাহারার মেশিন

পকেটে থাকা মানিব্যাগ বা নিজের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট কোথায় ফেলে রেখে আসা হয়েছে বা দামী জিনিস হারানো নিত্যদিনের স্বাভাবিক ঘটনা। তার জন্য অ্যাপেল নিয়ে এসেছে দারুণ…

apple airtag

পকেটে থাকা মানিব্যাগ বা নিজের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট কোথায় ফেলে রেখে আসা হয়েছে বা দামী জিনিস হারানো নিত্যদিনের স্বাভাবিক ঘটনা। তার জন্য অ্যাপেল নিয়ে এসেছে দারুণ সমাধান‌ এয়ার ট্যাগ। এই ট্যাগ দিয়ে খুঁজে বের করা যাবে কোথায় আছে হারিয়ে যাওয়া যেকোনো কিছু। অনেকে আবার এই ডিভাইসের সহায়তায় নজরদারি করছেন স্ত্রী কিংবা প্রেমিকার ওপর। কিন্তু কীভাবে কাজ করে হুলস্থুল ফেলে দেওয়া এই ডিভাইস।

বহু বছর ধরে প্রযুক্তিবিদরা ভাবছিলেন এমন এক ডিভাইসের কথা যেটি চাইলেই ট্যাগ করা যাবে। এই লক্ষ্যে প্রথম বাজারে আসে জিপিএস সিস্টেম। এই সিস্টেম বর্তমানে সব গাড়িতে লাগানো থাকে। অর্থাৎ গাড়ি চুরি করে নিয়ে গেলে, ঘরে বসে দেখা যাবে তার গতিবিধি। তবে এই সিস্টেম এতটাই বড়ো ছিল যে এটা মানিব্যাগের মতো ছোটো কোনো জায়গায় রাখা যেত না। এগুলো চালাতে অনেক বেশি পাওয়ারের ব্যবস্থা করতে হত। তাই বারবার পাল্টাতে হত ব্যাটারি বা আলাদা করে ব্যবস্থা করা হত ইলেকট্রিসিটির। তাই এই সমস্যা সমাধানে অনেকগুলো কোম্পানি কাজ করছিল। বেশ কিছু প্রোটো টাইপ প্রোডাক্ট বাজারে এসেছিল। তবে সবচেয়ে পারফেক্ট সমাধান আসে ২০২১ সালে।

   

apple airtag

অ্যাপেলের নতুন প্রোডাক্ট উন্মোচন করার দিন তারা অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ট্র্যাকিং আনার ঘোষণা দেয়। সেবছর পুরো বিশ্বের সামনে উন্মোচন করা হয় অ্যাপেলের এয়ার ট্যাগ একটি ডিভাইস। দেখতে এক টাকার কয়েনের মতো। এই ডিভাইস যেখানে থাকুক না কেন তা ট্র্যাক করা যাবে অ্যাপেল ক্লাউডের মাধ্যমে। অর্থাৎ কোনো একটা চাবি রিং হারিয়ে গেছে, তাতে এয়ারট্যাগ জোড়া থাকলে দেখা যাবে কোথায় আছে ওই ট্যাগ বা চাবি রিং।

এই ডিভাইসের সবচেয়ে বড়ো সুবিধা এর আকৃতি। এটা এতটাই ছোটো যে এটাকে যেকোনো জায়গায় ফিট করে দেওয়া যাবে, এমনকি নজরদারিও করা যাবে। ইতিমধ্যেই নজরদারির একটা ঘটনা ভারতে সাড়া ফেলে দিয়েছে। এক যুবক তার প্রেমিকাকে সন্দেহ করে গাড়ির সিটের নিচে এয়ারট্যাগ রেখে দেন। এরপর সে নিজে ফোন থেকে ট্র্যাক করে কোথায় যাচ্ছে তার প্রেমিকা। পরে ভিকটিম ঘটনা বুঝতে পারেন। কোর্ট পর্যন্ত এই ঘটনার মামলা হয়েছে। যদিও সে মামলা এখনও চলমান।

এই ট্যাগ সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে চাবির রিং ও মানিব্যাগে। প্রত্যেকটা ট্যাগের সাথে একটা করে রিং দেওয়া হচ্ছে। যা দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা যাবে এয়ার ট্যাগটি। দাম কম হওয়ায় অনেকেই নিজের গাড়ি, মোটর বাইকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যবহার করছেন এটি। প্রত্যেকটা এয়ার ট্যাগের দাম ২৬ ডলার। তবে চারটে একসঙ্গে কিনলে দাম পড়বে ৯৯ ডলার করে। এই ট্যাগের নীচের অংশে রয়েছে একটা বিশাল ব্যাটারি। যা দিয়ে এই ট্যাগ সচল থাকবে এক বছর। পরে অবশ্য চাইলেই ব্যাটারি পালটানো যাবে খুব সহজেই। ফলে কাউকে বারে বারে কিনতে হবে না এয়ার ট্যাগ। এই ট্যাগে থাকা বিশেষ এনএসসি সুবিধা ব্যবহার করে কেউ চাইলেই তার মালিককেও ট্র্যাক করতে পারবেন। অর্থাৎ কারোর ট্যাগ খুঁজে পেলে তাও ফেরত দেওয়া যাবে। প্রাথমিকভাবে এই ডিভাইস অ্যাপেল প্রোডাক্ট দিয়ে ট্যাগ করা গেলেও এখন একটা অ্যানরয়েড অ্যাপ ডেভেলপ করা হয়েছে। এটা দিয়েও ট্র্যাক করা যাবে এই ট্যাগ।