দুর্গাপুজো আসতে আর কয়েকদিনের অপেক্ষা। আজ বিশ্বকর্মা পুজো সঙ্গে বহু বাড়িতেই রয়েছে রান্নাপুজো। তাই আজকের দিনে বেশির ভাগ বাড়িতেই ইলিশ রান্নার চল রয়েছে। তাই সকলের জন্য রয়েছ দারুণ সুখবর। ইলিশ (Hilsa) শুধু খাবার নয়, একপ্রকার আবেগ। অন্যরকম একটা উৎসবের গন্ধ। পুজোর আগে পদ্মার ইলিশ না এলে যেন উৎসবের আনন্দই পূর্ণ হয় না। ঠিক যেমন প্রতি বছর হয়, এ বছরও তার ব্যতিক্রম ঘটল না। মঙ্গলবার রাতেই পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে ঢুকল বাংলাদেশের ইলিশভর্তি ট্রাক। প্রায় ৩৮ মেট্রিক টন পদ্মার ইলিশ একসঙ্গে এসে পৌঁছল ভারতে।
বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ভারতের বাণিজ্য দফতরের সমন্বয়ে প্রতি বছরই ইলিশের চালান ভারতে আসে। পুজোর আগে পদ্মার ইলিশ নিয়ে বাঙালির উন্মাদনা যে কতটা গভীর, তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। এবারও সেই প্রত্যাশা পূরণ করল ওপার বাংলা। মঙ্গলবার রাতে পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে একের পর এক আটটি ট্রাক প্রবেশ করে ভারতে। প্রতিটি ট্রাকেই ঠাসা ইলিশ। সেই ইলিশের গন্তব্য কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন পাইকারি বাজার।
ইলিশকে ঘিরে বাণিজ্যিক দিকও কিন্তু কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। প্রতিবছর এই সময়ে বাংলাদেশ থেকে বড় আকারে ইলিশ আসে ভারতে। দুই দেশের মধ্যে এই বাণিজ্য শুধু অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেই নয়, সাংস্কৃতিক বন্ধনকেও দৃঢ় করে। কারণ পদ্মার ইলিশ নিয়ে দুই বাংলার মানুষের আবেগ এক। কলকাতার বাজারে ইলিশের দাম এখন আকাশছোঁয়া। সেই কারণে পুজোর আগে ইলিশের চালান আসা মানেই সাধারণ মানুষের মুখে হাসি। পাইকারি বাজারে ইলিশ আসা মাত্রই খুচরো বাজারে দাম কিছুটা হলেও কমে। পুজোর কেনাকাটায় ব্যস্ত বাঙালির জন্য তাই এটি নিঃসন্দেহে সুখবর। কলকাতার বড় বড় মাছের বাজার যেমন শ্যামবাজার, কাঁকুড়গাছি, গড়িয়াহাট, এমনকি উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন বাজারেও এই ইলিশের জোগান দেওয়া হবে।