বর্তমানে সময় যত এগোচ্ছে দলবদলের বাজারে তত বেশি সক্রিয় হয়ে উঠছে লাল-হলুদ (East Bengal FC) শিবির। গত মরশুমের শেষের দিক থেকেই বেশকিছু দেশীয় ফুটবলারদের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করেছিল ইস্টবেঙ্গল। বর্তমানে যাদের অনেকেই নিশ্চিত। তবে দলের বিদেশি ফুটবলার চয়নের বিষয়টি ছাড়া হয়েছিল কোচের উপরে। তাই সেই সময় কিছুটা ধীরে চলো নীতি গ্রহণ করা হলেও, নতুন কোচ হিসেবে কুয়াদ্রাতের আসার পর থেকেই তার পছন্দ মতো খেলোয়াড় সই করানোর কাজ শুরু করে ইমামি ম্যানেজমেন্ট।
সেইমতো হায়দরাবাদ এফসির তরুণ ফরোয়ার্ড জাভিয়ের সিভেরিও ও বোরহা হেরেরার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে দল। যতদূর জানা গিয়েছে, তাদের দুজনের সঙ্গেই নাকি কথাবার্তা প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল। তবে আরও দুই বিদেশির খোঁজ ছিল ইমামি ম্যানেজমেন্টের। এক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড সহ এশীয় কোটার একাধিক ফুটবলারদের উপর নজর ছিল লাল-হলুদের। সেইমতো দলের রক্ষনভাগকে শক্তিশালী এক অজি ডিফেন্ডার কে নিজেদের রাডারে রেখেছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল।
তিনি এফসি গোয়ায় খেলে যাওয়া জেমস দোনাচি। বর্তমানে সিডনি দলের হয়ে খেললেও পূর্বে এফসি গোয়ার হয়ে আইএসএল খেলেছিলেন এই তারকা। এবার তাকেই ভারতে ফেরাতে চাইছে ইমামি ম্যানেজমেন্ট। শোনা যাচ্ছে, এই তারকা ফুটবলার কে দলে নিতে মোট ৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার আশেপাশে খরচ হবে লাল-হলুদের। উল্লেখ্য, এখন সিডনি দলের হয়ে খেললেও এর আগে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলে ও একাধিকবার খেলেছেন দোনাচি। যথেষ্ট ভালো পারফরম্যান্স ছিল তার।
তবে শুধু ইস্টবেঙ্গল নয়, শোনা যাচ্ছে এই তারকা ফুটবলার কে নিতে আগ্ৰহ প্রকাশ করেছে আইএসএলের আরেক ক্লাব কেরালা ব্লাস্টার্স। গত মরশুম খুব একটা ভালো যায়নি আদ্রিয়ান লুনাদের। তবে সেই সমস্ত কিছু ভুলে নতুন করে দলকে ঢেলে সাজাতে চাইছে কেরল ম্যানেজমেন্ট। দিন কয়েক আগেই প্রতিপক্ষের ঘর ভেঙে প্রবীর দাস কে দলে টেনেছে কেরালা। যা নিঃসন্দেহে বিরাট বড়ো চমক। পাশাপাশি ইশান পন্ডিতার জন্য ও রাখা হয়েছে বড় অঙ্কের পারিশ্রমিক। এবার নাকি তাদের নজর দোনাচির দিকে। শেষ পর্যন্ত কোথায় আসেন এই তারকা ফুটবলার, এখন সেটাই দেখার।