পালানোর আগে যতগুলো সম্ভব মৃতদেহ বোমা কারখানার পাশের পুকুরে ছুঁড়ে ফেলেছিল ভানু বাগ। এমনই বলেছেন এগরার খাদিকুল গ্রামের বাসিন্দারা। ভয়াবহ এগরা বিস্ফোরণে (Egra Blast) সরকারি হিসেবে নিহত কমপক্ষে ৮ জন। তবে এলাকাবাসী বলছেন আরো বেশি মারা গেছে ভানুর বোমা তৈরির কারখানায়। সে নিজেও ঝলসে গেছিল। কারখানার সামলে থেকে একটি বাইকে ভানুকে চাপিয়ে নিয়ে নিকটবর্তী (Odisha) ওড়িশার সীমানা পার করে চলে যায় আরও দুজন। এরা ভানুর নিকটাত্মীয়।
পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা বিস্ফোরণের ভয়াবহতায় শিউরে উঠেছেন রাজ্যবাসী। বিস্ফোরণের কেন্দ্র থেকে অনেকদূর পর্যন্ত ছিটকে এসেছিল পোড়া মৃতদেহ। আর বেআইনি বাজি তৈরি কারখানার মালিক ভানু অর্ধদগ্ধ হয়েও মাথা ঠাণ্ডা রেখে সবার সামনে দিয়েই ওড়িশায় পালিয়েছিল।
বিস্ফোরণের তদন্তে উঠে আসে ভানু বাগ বেআইনি বাজি ব্যবসায় জড়িত হয়ে আগেও গ্রেফতার হয়েছিল। পরে জামিন পেয়ে ফের ব্যবসা শুরু করে। খাদিকুল গ্রামে তৃণমূলের নেতা হিসেবেই তার পরিচিতি।
বিস্ফোরণের দিন নিজে জখম হয়েও কিছু দেহ লোপাট করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। পরে ওড়িশায় চলে যায়। তাকে গোপনে নিয়ে যাওয়া হয় কটকের হাসপাতালে।
এগরা বিস্ফোরণ ঘটনায় ভানু বাগের মৃত্যু হয়েছে। সত্তর শতাংশ পুড়ে যাওয়া ভানু বাগ এই বিস্ফোরণের মামলায় মূল অভিযুক্ত। ফলে পুলিশের কাছে থাকল না ভানুর জবানবন্দি।