এগরা বিস্ফোরণের (Egra Blast) মূল অভিযুক্ত ভানুর দেহ কটক থেকে পূর্ব মেদিনীপুরে (Purba Medinipur আনা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাত ২টো নাগাদ কটকের রুদ্র হাসপাতালে মৃত্যু হয় এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানুর।
জেলা পুলিশ সুপার অমরনাথ কে ভানুর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। ভানুর দেহ পার্শ্ববর্তী রাজ্য থেকে আনতে উদ্যোগী রাজ্যপুলিশ।
মঙ্গলবার এগরার খাদিকুল গ্রামে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় ভানু জখম হয়। বিস্ফোরণে আরও অনেকের মৃত্যু হয়। অগ্নিদগ্ধ অবস্থাতেই ভানু বাগে ওড়িশায় পালিয়ে গেছিল। সেখানে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিস্ফোরণের ঘটনার পর রাত ২টো নাগাদ ভানুকে কটকের হাসপাতালে নিয়ে যান তার আত্মীয়েরা। তার মাথা থেকে পা পর্যন্ত সারা শরীর দগ্ধ ছিল। শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
দগ্ধ হওয়ার কারণ হিসাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল, স্থানীয় একটি অনুষ্ঠান বাড়িতে রান্নার তদারকি করছিলেন ভানু। সে খানেই সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিনি জখম হয়েছেন। ওড়িশার সেই হাসপাতালেই বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি সন্ধান পেয়েছিল ভানুর। সেখানেই গ্রেফতার করা হয় তার ছেলে এবং ভাইপোকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ভানুর শেষকৃত্যের পর তার ছেলেকে হেফাজতে নেওয়া হবে। এগরা বিস্ফোরণ মামলায় ভানু, তাঁর পুত্র ও ভাইপো— তিনজনকে মূল অভিযুক্ত হিসেবে মামলা দায়ের হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল। ভানুর বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় বেশ কয়েকটি দেহ। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল ভানু। এই বিস্ফোরণের ঘটনায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম।