ভারতে কমেছে বাল্যবিবাহের হার, এখনও ৩০০ বছর থাকবে প্রথা জানাচ্ছে UNICEF

বাল্যবিবাহের (Child marriage) হার কমছে গোটা বিশ্বে। রাষ্ট্রপুঞ্জের শিশুকল্যাণ সংস্থার ( UNICEF)তথ্য মতে, নাবালিকাদের বিয়ে সব থেকে বেশি কমেছে দক্ষিণ এশিয়ায়। ভারতেও নাবালিকা বিয়ের হার অনেক কমেছে।

Child marriage

short-samachar

বাল্যবিবাহের (Child marriage) হার কমছে গোটা বিশ্বে। রাষ্ট্রপুঞ্জের শিশুকল্যাণ সংস্থার ( UNICEF)তথ্য মতে, নাবালিকাদের বিয়ে সব থেকে বেশি কমেছে দক্ষিণ এশিয়ায়। ভারতেও নাবালিকা বিয়ের হার অনেক কমেছে।

   

বাল্যবিবাহের যে সংস্কার লোকের মনে গেঁথে আছে তা সহজে দূর করা সম্ভব নয়। আরও অন্তত ৩০০ বছর থাকবে এই প্রথা। ইউনিসেফের রিপোর্ট বলছে, গত ১০ বছরে নাবালিকা বিয়ে অনেকটাই কমেছে। তবে এই প্রথা সম্পূর্ণ নির্মূল হয়নি।

সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রায় ৬৪ কোটি মেয়ের বিয়ে হয়ে যায় ১৮ বছরের নীচে। প্রতি বছর এশিয়ার দেশগুলোতে ১ কোটিরও বেশি মেয়ের বিয়ে হয় প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই।

আইনকে ফাঁকি দিয়ে চলছে এই প্রথা। সারা বিশ্বে ১৮ বছরের নীচে মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার আশঙ্কা কমেছে। মেয়েদের শিক্ষার হার বাড়ছে, কিশোরীদের জন্য বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প হচ্ছে। বাল্যবিবাহ অবৈধ ও এর কুফল নিয়ে সামাজিক বার্তার ভূমিকা এই পরিবর্তনের কারণ জানাচ্ছে ইউনিসেফ।

সূত্র অনুযায়ী, বিশ্বে এক দশক আগে ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগে শতকরা ২৫টি মেয়ের বিয়ে দেওয়া হত, এখন তা ২০-তে নেমে এসেছে।ইউনিসেফের রিপোর্ট বলছে, ভারতে বাল্যবিবাহ ২০০৫ সালে ৪৭.৪ শতাংশ ছিল ২০২১ সালে তা ২৩.৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সংশ্লিষ্ট দফতরের সমীক্ষার ফল বলছে, কেরলে এক জন মেয়েরও ১৮ পেরোনোর আগে বিয়ে হয় না। আর ঝাড়খণ্ডে সেই সংখ্যাটা অনেকটাই বেশি।