কালিয়াগঞ্জে (Kaliyaganj ) গুলিবিদ্ধ হয়ে বিজেপি (BJP) কর্মীর মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে ১২ ঘণ্টার বন্ধ বিজেপির। সকাল থেকেবনধে মিশ্র প্রভাব উত্তরবঙ্গে। সরকারি বাস চললেও বেসরকারি বাস বন্ধ। রাস্তায় ছোট যানবাহন, টোটো চলছে। বাজারও খুলেছে। কিন্তু বেলা গড়াতেই আরও প্রকট হয় বনধ।
বেলা গড়াতেই বিজেপির ডাকা বন্ধে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহনের বাস ভাঙচুর চালানো হয়। ভাঙচুর চলে কোচবিহারের খাগড়াবাড়ি এলাকায়। বনধ সমর্থনকারীরা বাসে ঢিল মারে বলে অভিযোগ। কোচবিহার শহরে বনধ সমর্থনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি। গ্রেফতার বনধ সমর্থনকারী অনেক বিজেপি কর্মী।
পাশাপাশি, পুরাতন মালদার মঙ্গলবাড়ি এলাকায় বুলবুলি মোড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। রাস্তায় বসে পড়ে বিজেপির নেতা কর্মীরা। মালদা শহর ইংরেজবাজার ছাড়াও গাজোল, হবিবপুর, মানিকচক ইত্যাদি ব্লকে বনধে ভালো সাড়া মিলেছে। রাস্তায় বিশেষ যান চলাচল নেই, দোকান বাজার বন্ধ।
অন্যদিকে, তুফানগঞ্জে বিজেপি মন্ডল সভাপতি ও যুব সভাপতি সমেত মোট ৭ জনকে আটক করলো তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ। এদিন সকাল থেকেই জলপাইগুড়ি নেতাজি পাড়া বাস স্ট্যান্ড এলাকায় বন্ধকে ঘিরে করা বিশাল পুলিশি ব্যবস্থা। চলছে রেফ ও পুলিশের টহলদারি। বেসরকারি বাসস্ট্যান্ডের গেট বন্ধ। সরকারি বাস চলাচল স্বাভাবিক।