সোমবার সকালেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ১৩ তারিখের নির্দেশের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করেন। যার ফলে সিবিআই ও ইডির জেরার মুখোমুখি থেকে রক্ষা পান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। কিন্তু বেলা পৌনে দুটো নাগাদ সিবিআইয়ের তরফে নোটিশ পাঠিয়ে মঙ্গলবার সকাল ১১ টা নাগাদ নিজাম প্যালেসে তলব করা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এরপরেই ট্যুইটারে বিজেপি ও তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূলের সেকেণ্ড ইন কম্যান্ড।
তিনি ট্যুইটে লেখেন, বিজেপি আমাকে হয়রানি করার জন্য টার্গেট করছে। এর জন্য ইডি ও সিবিআইকে আদালত অবমাননার মুখে ঠেলে দিচ্ছে। কলকাতা হাইকোর্টের তরফে আমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তাতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তারপরেও আমাকে তলবে নোটিশ পাঠানো হল ১ টা ৪৫ মিনিটে। রাজ্যের অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষের মুখে শোনা যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নেওয়ার জন্য তাঁকে চাপ দিচ্ছে তদন্তকারী সংস্থা। এরপরেই আলিপুর আদালত ও হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ জমা করেন তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত নেতা কুন্তল ঘোষ। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডি ও সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। এমনকি মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। পরে সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ ঘোষণা করে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেও সিবিআইইয়ের তরফে নোটিশ পাঠানো হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যা নিয়ে অয়াকিবহাল মহলে একাধিক প্রশ্ন ঘোরাফেরা করতে শুরু করেছে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ট্যুইটে নোটিশের কপি তুলে ধরেছেন। যেখানে তিনি নোটিশ বাই হ্যান্ড পাঠানো হয়েছে। সেখানেও বোঝাতে চেয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে সোমবার নোটিশ গ্রহণের পর যে সময় ও তারিখ দেওয়া হয়েছে, সেটাকেও উল্লেখ করেছেন তিনি। এখন প্রশ্ন হল, সিবিআইয়ের তলবের পরেও নিজাম প্যালেসে যাবেন অভিষেক?