ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) সভাপতি জে পি নাড্ডা মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের নেতা অনুপম হাজরাকে (Anupam Hazra ) দলের জাতীয় সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। প্রাক্তন লোকসভা সদস্য হাজরা বেশ কিছুদিন ধরে রাজ্যে দলের কাজকর্মের সমালোচনা করছেন।
বিজেপির এই সিদ্ধান্ত এমন এক দিন যখন নাড্ডা এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে কলকাতায় ছিলেন। হাজরার পদ থেকে অপসারণকে দলের অভ্যন্তরে ভিন্নমতাবলম্বীদের সাংগঠনিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং নেতৃত্বের অবস্থান অনুসরণ করার বার্তা হিসাবে দেখা হচ্ছে।
৩৫টি আসনে জয়ী হওয়ার আহ্বান জানান
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সভাপতি জেপি নাড্ডা মঙ্গলবার আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের জন্য দলের পশ্চিমবঙ্গ ইউনিটের প্রস্তুতির পর্যালোচনা করেছেন এবং পূর্ব রাজ্যের ৩৫টি লোকসভা আসনে দলের রাজ্য নেতৃত্বের সাথে দেখা করেছেন। জেতার চেষ্টা করার অনুরোধ রইল। শাহ এবং নাড্ডার কলকাতা সফর ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গে দলের সাংগঠনিক পরিস্থিতির মূল্যায়নের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। দুই নেতা একাধিক বৈঠক করেন।
রুদ্ধদ্বার বৈঠক
বিজেপির রাজ্য নেতাদের মতে, সন্ধ্যায় উভয় নেতাই ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে একটি বন্ধ দরজার অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং নয়াদিল্লি রওনা হওয়ার আগে দলের সোশ্যাল মিডিয়া কর্মীদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। বৈঠকে উপস্থিত একজন প্রবীণ রাজ্য বিজেপি নেতার মতে, শাহ এবং নাড্ডা রাজ্যে ৩৫ টিরও বেশি লোকসভা আসন জয়ের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছিলেন।
মহুয়া মৈত্রকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করার কথা উল্লেখ করে “বদলে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা” এবং তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জির সহ-সভাপতি জগদীপ ধনখরের প্যারোডির কথা উল্লেখ করে শাহ জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “এটি কি একজন এমপির সাথে মানানসই?”
টিএমসির মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এই সফরকে খুব বেশি গুরুত্ব না দিয়ে বলেছেন, “এই সফরের কোনও প্রভাব পড়বে না। তারা আসবে এবং যাবে কিন্তু বাংলার মানুষ টিএমসি এবং শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আস্থা রাখবে। এটা আমরা ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও দেখেছি।”
