১০০ বছরে আয়ের রেকর্ড ভেঙেছে টয়ট্রেন (Darjeeling Toy Train)। চলতি আর্থিক বর্ষে টয়ট্রেনের আয় হয়েছে প্রায় ২০ কোটি টাকা। যা এযাবৎকালে সর্বোচ্চ বলেই জানিয়েছেন রেলকর্তারা। ডিএইচআরের এই আয়ে উচ্ছ্বসিত ডিএইচআর কর্তারা।
দীর্ঘদিন ধরে ধুঁকতে থাকার পর গত দু’বছরে ডিএইচআরের এহেন পরিবর্তনের সমস্ত কৃতিত্ব রেলকর্তারা কর্মীদের দিয়েছেন। ডিএইচআর ডিরেক্টর প্রিয়াংশুর কথায়, ‘এবছর প্রায় ২০ কোটি টাকা আয় হয়েছে। যা টয়ট্রেনের ইতিহাসে প্রথম। আমরা আগামী বছর এই সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে যেতে চাই।’
দীর্ঘদিন ট্রেন বন্ধ থাকায় টয়ট্রেনের হেরিটেজ তকমা ধরে রাখা নিয়েই সংশয় দেখা দিয়েছিল। বছর দুয়েক আগে ইউনেসকোর প্রতিনিধিরা কার্শিয়ংয়ে ডিএইচআরের সদর দফতরকে এহেন ইঙ্গিত দেওয়ার পরেই রেল নড়েচড়ে বসে। ডিএইচআরের জনপ্রিয়তা বাড়াতে আর কী কী করা যায়- তার একটি প্রস্তাব চেয়ে পাঠায় ভারতীয় রেলবোর্ড। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কর্তারা সেইমতো বেশ কয়েকটি প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন।
তার মধ্যে ঘুম উৎসব করা, টয়ট্রেনের ভিস্টাডোম কোচ, এসি কামরা, ডাইনিং কার চালানোর প্রস্তাব ছিল। সেইসঙ্গে প্রচার বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। রেলবোর্ড সেই প্রস্তাব বিবেচনা করে সবুজ সংকেত দিতেই ডিএইচআর প্রতিটি প্রস্তাবকে বাস্তবে রূপায়িত করে। দেশ- বিদেশে টয়ট্রেনের প্রচারের জন্যে ঘুম উৎসব করা হয়। বিভিন্ন জায়গায় প্রচারের বোর্ড লাগানো হয়। নতুন নতুন জয়রাইড চালু করা হয়। আর এতেই কেল্লা ফতে। দুই আর্থিক বর্ষে নিজের রেকর্ড ভাঙছে ডিএইচআর। রেলকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত আর্থিক বর্ষে ডিএইচআরের আয় ১০ কোটির আশপাশে ছিল। এবার তা একলাফে বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে এবছর।