Gujarat: ভারতে সবচেয়ে বেশি শিশুকন্যা হত্যা হয় নরেন্দ্র মোদির গুজরাতে

নিউজ ডেস্ক: দেশের চলতি আইনে জন্মের আগে ভ্রূণের লিঙ্গ নির্ধারণ করা এবং কন্যা ভ্রুণ হত্যা করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু প্রশাসনের নাকের ডগায় দেশে প্রতিদিনই এই…

save girls

নিউজ ডেস্ক: দেশের চলতি আইনে জন্মের আগে ভ্রূণের লিঙ্গ নির্ধারণ করা এবং কন্যা ভ্রুণ হত্যা করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু প্রশাসনের নাকের ডগায় দেশে প্রতিদিনই এই দুটি কাজ নির্বিচারে হয়ে চলেছে। আর এক্ষেত্রে দেশের মধ্যে প্রথম স্থানটি দখল করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গুজরাত।

Advertisements

দেশে বিভিন্ন রাজ্যে পুত্র ও কন্যা সন্তানের অনুপাত নির্ধারণের জন্য সম্প্রতি একটি সমীক্ষা চালানো হয়। ওই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, গুজরাত, হরিয়ানা, রাজস্থান, পাঞ্জাবের মত বেশ কিছু রাজ্যে পুত্র সন্তানের থেকে কন্যা সন্তানের সংখ্যা অনেক কম। কন্যা ভ্রূণ বা জন্মানোর পর কন্যা সন্তানকে হত্যা করাই যে এর মূল কারণ এটা স্পষ্ট।

   

কন্যা সন্তান হত্যা বা কন্যা ভ্রুণ নষ্ট করে দেওয়ার ঘটনা সবথেকে বেশি ঘটেছে মোদির গুজরাতে। এই সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, মোদির রাজ্যেই ছেলে ও মেয়ের অনুপাতের ব্যবধান সবচেয়ে বেশি। বিজেপি শাসিত গুজরাতে প্রতি হাজার কন্যা সন্তানের মধ্যে ৫৫০টি শিশুকে জন্মের আগে বা পরে মেরে ফেলা হয়। যদিও প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি রীতিমতো ঢাকঢোল পিটিয়ে ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ প্রকল্প ঘোষণা করেছেন।

save girls

তবে শুধু গুজরাত নয়, বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানাতেও কন্যা সন্তান হত্যার সংখ্যা নেহাত কম কিছু নয়। কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানেও কন্যা সন্তান হত্যা উদ্বেগ পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে। ওই পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, হরিয়ানায় প্রতি এক হাজার ছেলে পিছু মেয়ের সংখ্যা ৮৭১। অন্যদিকে রাজস্থানে হাজার ছেলে পিছু মেয়ের সংখ্যা ৯৪৮।

Advertisements

পরিসংখ্যান বলছে, পাঞ্জাবে প্রতি হাজার মেয়ের মধ্যে ৩৫০ জন কন্যা সন্তান উধাও হয়ে যায়। হরিয়ানায় এই সংখ্যাটা ২৮৯ এবং গুজরাতে ৪৫০। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে হারে ছেলের তুলনায় মেয়ের সংখ্যা কমছে তাতে আগামী দিনে মেয়েদের উপর অত্যাচার ও অপরাধ দুই বাড়বে।

রাষ্ট্রসঙ্ঘের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি কন্যা সন্তান হত্যা হয় ভারতবর্ষে। যদিও এই রিপোর্ট বেশ কয়েক বছরের পুরনো। তবে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতে ৬৮ লক্ষ কন্যাসন্তানকে জন্মের আগেই মেরে ফেলা হতে পারে।

২০৩০ সালের মধ্যে কন্যাভ্রূণ হত্যায় দেশের প্রথম স্থানটি দখল করবে উত্তরপ্রদেশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অপরাধের জন্য দায়ী আমাদের সমাজ ব্যবস্থা এবং আমাদের সংস্কার। যতদিন না মানুষ তাদের বস্তাপচা সংস্কার ঝেড়ে ফেলতে পারবে ততদিন কোনওভাবেই এই পরিস্থিতির বদল হবে না।