শেষবার পুলিশ কর্তা রাজীব কুমারের জন্যে ধর্মতলায় ধর্না দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)৷ সে বার তাঁর ধর্না মঞ্চে উপস্থিত হয়েছিলেন চন্দ্রবাবু নাইডু। তারপর ১৯ এর নির্বাচনে বিরোধীরা মঞ্চ জুড়ে একজোট হয়েছিলেন। ব্রিগেডের ময়দান আলোকিত করেছিলেন প্রথম সারীর নেতারা৷ এরপর ২১ এর নির্বাচনে বিজেপিকে পরাজিত করে আদর্শ বিরোধী নেত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে আলোচনা হয়েছে৷ কিন্তু এবার কেন্দ্রের সরকারের আর্থিক বঞ্চনার বিরুদ্ধে ধর্না দিলেন ৩০ ঘন্টা৷ কিন্তু এবার কারওর ফোন এল না৷ কেউ কোনও খোঁজও নিল না!
জাতীয় রাজনীতির ইতিহাসে কংগ্রেসের পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্থানের পিছনে বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে৷ নন্দীগ্রামের ঘটনার সময় যেভাবে প্রাণপাত করে অটল বিহারী বাজপেয়ীরা পৌঁছে গিয়েছিলেন, তাতে রাজনীতির মোড় ঘুরে গিয়েছিল। এরপর সিঙ্গুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনশন ভাঙাতে উপস্থিত হন রাজনাথ সিং৷ কিন্তু এবার দিল্লি থেকে কোনও নেতাই যোগাযোগ করলেন না৷ বিজেপির তরফে আসবে এটা ভেবেছিলেন তিনি৷ কিন্তু তা হল না।
শেষ দিনে আক্ষেপের সুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি আজ পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলাম। ভেবেছিলাম কেন্দ্র ফোন করে বলবে, তোমাদের প্রাপ্য টাকা দেব। কিন্তু কিছুই নেই। সব ভোঁ-ভাঁ। তিনি আরও বলেন, ভেবেছিলাম, কোনও একজন কুচো নেতাও ফোন করে বলবেন, তাঁরা বিষয়টি দেখছেন। কিন্তু কেউ একটা ফোনও করলেন না!
বিজেপির বদল নিয়ে বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বাজপেয়ী জমানার বিজেপির চেয়ে বর্তমানের বিজেপির বদল হয়েছে৷ আবার কখনও প্রধানমন্ত্রীর সমর্থনে মন্তব্য করতে দেখা গেছে তাঁকে। তবে কি দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগের কারণে দিল্লিতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি বদলে গেছে? বারবার দিল্লি যাওয়ার কথা বলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তবে কী নিজের দলের জল মাপতেই যাবেন? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে।