WPL 2023 এর প্রথম আসর শেষ। মুম্বাই দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এটি ছিল WPL এর প্রথম আসর। এর সঙ্গে নারী ক্রিকেট বিশ্বে যোগ হলো নতুন অধ্যায়। এবারের আসরে খেলেছে ৫টি দল। চ্যাম্পিয়ন দল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ছাড়াও লিগে অংশ নেয় দিল্লি ক্যাপিটালস, ইউপি ওয়ারিয়র্স, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর এবং গুজরাট জায়ান্টসের দল। লিগে মোট ২১টি ম্যাচে দর্শকদের ভালো সমাগম দেখা গেছে। লিগের সময় খেলোয়াড়দের খেলার পাশাপাশি গ্ল্যামার নিয়েও আলোচনা হয়।
লিগে অনেক বিদেশী খেলোয়াড় তাদের চেহারা দিয়ে মানুষকে আকৃষ্ট করেছে। ভারতের কিছু খেলোয়াড়কে নিয়ে দর্শকদের মধ্যে উৎসাহ ছিল। আমরা আপনাকে সেই শীর্ষ ৩ ক্রিকেটারের কথা বলি যারা তাদের গ্ল্যামারাস লুক নিয়ে আলোচনায় ছিলেন।
স্মৃতি মান্ধনার লুক নিয়ে আলোচনা হয়েছিল
এই তালিকায় প্রথম নামটি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানার। স্মৃতি মান্ধানা একজন সুপারস্টার। এই মৌসুমের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় ছিলেন তিনি। তিনি পেয়েছেন প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা। তবে এই দাম অনুযায়ী তিনি পারফর্ম করতে পারেননি। তিনি ৮ ম্যাচে মোট ১৪৯ রান করেন। তার গড় ছিল ১৮এর কাছাকাছি। স্মৃতির অধিনায়কত্বে দলটি ফাইনালের দৌড়ের বাইরে ছিল।
View this post on Instagram
তানিয়া ভাটিয়ার মুগ্ধতাও
আরেকজন খেলোয়াড় যার পারফরম্যান্সের পাশাপাশি লুক নিয়েও আলোচনা হয়েছিল তানিয়া ভাটিয়া। দিল্লি ক্যাপিটালস দলে ছিলেন ২৫ বছর বয়সী তানিয়া ভাটিয়া। ফাইনালে হারের মুখে পড়তে হয় তার দলকে। উইকেটরক্ষক হিসেবে ভালো পারফর্ম করেছেন তানিয়া। লিগের ৯ ম্যাচে উইকেটের পেছনে ১০টি শিকার করেছেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে ৬টি ক্যাচ ও ৪টি স্টাম্পিং।
View this post on Instagram
হারলিন দেওলও অসাধারণ করেছেন
২৪ বছর বয়সী হারলিন দেওলের সৌন্দর্যও আলোচনায় ছিল। হারলিন গুজরাট জায়ান্টস দলের অংশ ছিলেন। লিগেও ভালো ফর্মে ছিলেন হারলিন। ৮ ম্যাচে তিনি ২০২ রান করেন। তিনি তার দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন। তিনি ১২৫-এর বেশি স্ট্রাইক রেটে রান করেছিলেন। তবে তা সত্ত্বেও তার দল ৮ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ২টিতে জিতেছে। মাত্র ২ জয়ে ৪ পয়েন্টের কারণে দলটি পয়েন্ট টেবিলের শেষ অবস্থানে ছিল।
View this post on Instagram
মজার বিষয় হল এই তিনজন খেলোয়াড় ডাব্লুপিএলে বিভিন্ন দল থেকে খেললেও, তারা টিম ইন্ডিয়াতে একসঙ্গে খেলেন। জানিয়ে রাখি, অতীতে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড অর্থাৎ বিসিসিআই নারী ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি পুরুষদের সমান করে দিয়েছিল। নিউজিল্যান্ডের পর বিসিসিআইই দ্বিতীয় বোর্ড যারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্পষ্টতই, এই সমস্ত কিছু নারী খেলোয়াড়দের ভবিষ্যতের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।