গত বৃহষ্পতিবার লগ্নিকারী সংস্থার সঙ্গে ক্লাব (East Bengal) কর্তাদের বৈঠকের পরেই কোচ বদলের কথা শোনা যায় আদিত্য আগরওয়ালের তরফে। যারফলে, আসন্ন সুপার কাপের পরেই লাল-হলুদ থেকে ছাটাই নিশ্চিত স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের। কিন্তু প্রশ্ন হল নতুন কোচ হিসেবে কাকে দায়িত্ব দিতে পারে ইমামি ইস্টবেঙ্গল?
এইক্ষেত্রে বলা যায় অনেকটাই এগিয়ে এবারের ওডিশা এফসির প্রাক্তন কোচ জোসেফ গাম্বাউ। তার দৌলতেই এবছর আইএসএলের নক আউট খেলেছিল তারা। কিন্তু মরশুম শেষ হতেই তাকে বাদ দেয় ওডিশা ম্যানেজমেন্ট। এই স্প্যানিশ কোচই নাকি এবার প্রথম পছন্দ ইমামি ম্যানেজমেন্টের। সেইমতো বেশ কিছুদিন ধরেই তার সাথে কথাবার্তা অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে গেছিল লাল-হলুদের এই লগ্নিকারী সংস্থা। তবে এখানেই শেষ নয়।
পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী আগামী মরশুমের দল গঠনের বিষয়ে আজ ফের ইমামির সঙ্গে বৈঠকে বসছে ক্লাব কর্তারা। তার আগেই গতকাল রাতে কলকাতায় এসে পৌঁছোন জোসেফ গাম্বাউ। সেজন্য আজ বৈঠক শেষে প্রাক্তন ওডিশা কোচের নাম ঘোষণা হলে খুব একটা অবাক হওয়ার কোনও কারন থাকবে না। তাই এখন থেকেই এই কোচকে নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় লাল-হলুদ শিবির।
আসলে তার কিছু পুরোনো ঘটনা যথেষ্ট ভাবাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল কে। শোনা গিয়েছে কোচ হিসেবে নাকি প্রচন্ড রগচটা মেজাজের মানুষ এই গাম্বাউ। একবার নাকি রাগের ফলে ওডিশা দলের ফুটবলার আইজ্যাক রালতের গায়ে হাত তুলেছিলেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, একবার নাকি বিমানবন্দরের কর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতি তে জড়িয়ে পড়েছিলেন এই স্প্যানিশ কোচ। যারফলে আটক করা হয়েছিল তাকে। শেষ পর্যন্ত ওডিশা সরকার ও ম্যানেজমেন্টের সক্রিয়তায় মুক্তি পান তিনি।
এই সমস্ত ঘটনা জানার পর থেকেই চিন্তা শুরু হয়েছে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের। কারন কলকাতার দুই প্রধানেই কোচিং করানোর জন্য প্রয়োজন স্থির মেজাজের। কিন্তু কোচের এই সমস্ত ঘটনার ফলে আগামী দিনে দলের দায়িত্ব উঠলে আদৌ তা কতটা সামলাতে পারবেন সেটাই ভেবে চলেছেন সকলে। উল্লেখ্য, আগামী মরশুমের জন্য জোসেফ গাম্বাউয়ের উপর ইস্টবেঙ্গলের লগ্নিকারী সংস্থার আগ্ৰহ থাকলেও তাকে আনতে নারাজ ক্লাব কর্তারা। আজ বৈঠক শেষে কোচ হিসেবে কার নাম উপর আসে এখন সেটাই দেখার।