পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী গত ২৩ তারিখ নিজেদের লগ্নিকারী সংস্থা ইমামির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল লাল-হলুদ কর্তারা। তবে বৈঠক শুরু হওয়ার কিছু সময় আগেই ইমামি হাউস চত্বরে বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায় বেশকিছু লাল-হলুদ সমর্থকদের। যাদের দাবি ছিল এটিকের মতো শক্তিশালী দল না করলে তারা আইএসএলে খেলবে।
তবে সেই নিয়ে সংস্থা ও ক্লাব কর্তাদের খুব একটা চিন্তিত না দেখালেও সময়ের সাথে সাথে এই নিয়েই ক্ষোভ দেখা দেয় দুই প্রধানের মধ্যে। গত শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে লাল-হলুদের তরফ থেকে জানানো হয়, তাদের বর্তমান লগ্নিকারী সংস্থা ইমামির কে ম্যাসেজ পাঠিয়ে তাদের বিরুদ্ধে উস্কানি দেওয়ার কথা। অভিযোগের আঙুল মোহন সচিব দেবাশীষ দত্তের দিকে।
এই নিয়েই সাংবাদিক বৈঠকে রাজা গুহ বলেন, আমার সঙ্গে সবুজ-মেরুন সচিবের সম্পর্ক যথেষ্ট ভালো সেটা আপনারা জানেন। আমি কখনো কোনও কর্তার বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণের পথে হাঁটি না। কিন্তু আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি, মোহনবাগান সচিব নিজের ক্লাবের থেকে লাল-হলুদ কে নিয়েই বেশি চিন্তিত। তবে সেসব করতে গিয়ে তিনি এমন কাজকর্ম করে বসছেন যে আগামীতে আর সৌজন্য রাখা সম্ভব হচ্ছে না।
এক কথায় ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফে অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার ইমামি হাউস চত্বরে লাল-হলুদ সমর্থকরা যে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল, মোহন সচিব দেবাশীষ দত্ত সেই ভিডিও নাকি ইমামি ডিরেক্টর আদিত্য আগরওয়াল কে পাঠিয়ে ছিলেন। সাথে নাকি তিনি উল্লেখ করেছিলেন, যারা বিক্ষোভ দেখাতে এসেছিল তারা কেউ ইস্টবেঙ্গল সমর্থক নন। এরা দেবব্রত সরকারের লোক। যা নিয়ে তোলপাড় হতে থাকে কলকাতা ময়দান।
তবে পাল্টা দিতে ছাড়েননি এটিকে মোহনবাগান সচিব দেবাশীষ দত্ত। তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন,আমার কাছে কোনও ভিডিও নেই। ফেসবুকে দেখেছি। তাই আমার তরফ থেকে পাঠানোর কোনও প্রশ্নই আসে না। তারপরেই পড়শি ক্লাব কে খোঁচা দিয়ে বলেন, আমি চাই ওরা ভালো দল করুক। ওদের তরফ থেকে কি অভিযোগ আসছে তা নিয়ে কিছু বলতে চাইনা। কেউ সত্যি এমন কিছু করে থাকলে সেটা তাদের রুচি। আসল হচ্ছে সাফল্য। যেটা আমরা ধরে রেখেছি। তবে এই অভিযোগের পাশাপাশি রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রীর কাছে ও আবেদন করেছে লাল-হলুদ শিবির।