শুক্রবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC scam) উপেন বিশ্বাসর ‘রঞ্জন’ চন্দন মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তবে চন্দনের গ্রেফতারিতে মোটেই খুশি নন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। বরং চন্দনকে দেরিতে গ্রেফতার করায় হতাশা প্রকাশ করেন বিচারপতি। যা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। মন্তব্য কুণালের বক্তব্য,‘ গোপন জবানবন্দী দিন বিচারপতি’৷
শুক্রবার তিনি বলেন, অনেক আগে থেকেই বলতে চাইছি, যেহেতু অভিজিৎবাবু নিজে কর্মসূত্রে এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করেছেন৷ তিনি বলছেন মাথাকে ধরে আনতে হবে। তাঁর মানে তিনি জানেন মাথা কে? তিনি বলছেন ধেড়ে ইঁদুরকে ধরে আনতে হবে। তার মানে তিনি জানেন ধেড়ে ইঁদুর কোথায় রয়েছে? বারবার বলছি সময় নষ্ট না করে, এই মামলায় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে সাক্ষী হিসেবে ১৬৪ লাগু করে যদি গোপন জবানবন্দী নেওয়া যায়, সেক্ষেত্রে এত সময় নষ্ট হয় না। উনি এত কিছু জানেন। যতবার আদালতের কাছ থেকে হতাশার কথা শুনব, ততবার বলব যাদের ওপর সন্দেহ রয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত হোক।
প্রসঙ্গত, এদিন টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার হয় চন্দন মণ্ডল। তদন্তে কোনরকম সহযোগীতা করেননি চন্দন মণ্ডল। বরং বারবার অন্য তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন তিনি। অন্যদিকে চন্দন মণ্ডলের আইনজীবীর তরফে বলা হয়েছে, চন্দন মণ্ডল পেশায় একজন শিক্ষক। কোনও এক প্রভাবশালী ব্যক্তি যিনি প্রথমে চন্দন মণ্ডল সম্পর্কে প্রকাশ্যে মন্তব্য করেছিলেন, তিনি চন্দন মণ্ডলকে গ্রেফতার করিয়েছেন।
কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলা চলাকালীন তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত। এরপরেই বিচারপতি বলেন, কে, সৎ রঞ্জন গ্রেফতার হয়েছে তো? হ্যাঁ, আমি জানি। আক্ষেপের সুরে বলেন, বলেন, কিন্তু কী হবে? কিছুই হবে না। গত ৭-৮ মাস ধরে তো তদন্ত চলছে। এখন তাঁকে গ্রেফতার করে কী হবে?