Kolkata Police: ঘরে বসে হতে পারে লাখ টাকার লোকসান, ডিজিটাল অ্যারেস্ট কী জানেন ?

কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police) ইন্টারনেটে সংঘটিত অপরাধের বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করতে পদক্ষেপ নিয়েছে, বিশেষ করে ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ নামে একটি জালিয়াতি। এটি এমন একটি পদ্ধতি যা…

Kolkata Police

কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police) ইন্টারনেটে সংঘটিত অপরাধের বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করতে পদক্ষেপ নিয়েছে, বিশেষ করে ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ নামে একটি জালিয়াতি। এটি এমন একটি পদ্ধতি যা অপরাধীরা মানুষকে ভয় দেখাতে এবং তাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার জন্য ব্যবহার করে। কলকাতা পুলিশ সম্প্রতি জনগণকে সতর্ক থাকার জন্য সতর্কতা জারি করেছে।

ঘরে বসে লোকসান হয় লাখ লাখ টাকা:
অনেকেই এই প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলেই এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ঘরে বসেই আমাদের লাখ লাখ টাকা ক্ষতি হয়। একজন অপরাধী আপনাকে একটি ভুয়া তদন্ত সংস্থার অফিসার হিসাবে জাহির করে প্রতারণা করতে পারে। তারা ফোন করে মানুষকে ভয় দেখায় এবং স্কাইপে “তদন্ত” বা ‘গ্রেফতার’ করার জন্য ডাকে। আসলে কোনো সরকারি তদন্তকারী সংস্থা এটা করে না।

ডিজিটাল অ্যারেস্ট স্ক্যাম কী?
ডিজিটাল অ্যারেস্ট হল একটি কেলেঙ্কারী যেখানে অপরাধীরা সরকার বা তদন্ত সংস্থার ভান করে মানুষকে ভয় দেখায়। তারা ফোন বা অনলাইনের মতো কিছু মাধ্যমে আপনার সাথে যোগাযোগ করে এবং মিথ্যা বলে যে আপনার গ্রেপ্তারের পরোয়ানা রয়েছে বা আপনি তদন্তাধীন। তারপর তারা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য বা ব্যাঙ্কের বিবরণ চায় বা গ্রেপ্তার এড়াতে টাকা দেওয়ার হুমকি দেয়। এই জালিয়াতি মানুষকে আতঙ্কিত করতে এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।

কলকাতা পুলিশের পরামর্শ

• প্রকৃত সরকারী বিভাগ আপনাকে তদন্ত বা গ্রেফতারের জন্য স্কাইপ কলে কল করবে না।

• আপনি যার সাথে ঘনিষ্ঠ কোন আত্মীয়কে গ্রেপ্তারের মিথ্যা খবর পান, তবে আপনার স্থানীয় থানায় যান এবং সত্যটি সন্ধান করুন।

• এই ধরনের কল রিসিভ করার সময় আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। প্রথমে আপনার পরিবারের সদস্যদের এবং তারপর স্থানীয় পুলিশকে জানান।

• কলকারীর ভয়েস যদি আপনার পরিচিত মনে হয়, তাহলে সরাসরি তাদের সম্পর্কে তথ্য নিন। তাড়াহুড়ো করে টাকা পাঠাবেন না এবং কাউকে পেমেন্ট দেবেন না।

কলকাতা পুলিশ বলেছে, অপরাধীরা মানুষকে ভয় দেখিয়ে টাকা চুরি করে। এই লোকেরা এমন একটি পরিবেশ তৈরি করে যেন একটি বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন। এ কারণে মানুষ নার্ভাস হয়ে চিন্তা না করে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেয় এবং অপরাধীদের ফাঁদে পা দেয়।