প্রসেনজিৎ চৌধুরী: ঠিকানা আছে একটা। বিরোধী দলনেতা হিসেবে আগরতলার সরকারি বাসভবন। এরপর? সেটাই তো বড় প্রশ্ন। এর পর কী হবে? কুড়ি বছর একটানা ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী থেকেও একটা ঘর করতে পারেননি সিপিআইএম পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকার (Manik Sarkar)।
তাঁর ঘরনী পঞ্চালি ভট্টাচার্য অবশ্য অত সত ভাবেন না। যেমন ঘরহীন মানিকও ভাবেন না। কিন্তু ঠিকানা কী হবে? আর তো সরকারি আবাসনে থাকা যাবে না। বৃহস্পতিবার বিধায়ক হিসেবে শেষ ভোট দিয়ে এসেছেন মানিক সরকার। সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরা তাঁকে ছেঁকে ধরেছিল। ব্যাস ওইটুকু। রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া দিয়েই দিনভর দলীয় দফতর থেকে ভোট পর্যবেক্ষণ করেছেন বিরোধী দল সিপিআইএমের ভোটে না লড়াই করা অধিনায়ক মানিক সরকার।
গত বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরায় টানা পঁচিশ বছরের বাম জমানা শেষ হয়। পদত্যাগপত্র দাখিল করে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ছাড়তে বিন্দুমাত্র দেরি করেননি মানিক সরকার। স্ত্রী পাঞ্চালি ভট্টাচার্যকে নিয়ে সটান দলের রাজ্য দফতর দশরথ দেব স্মৃতি ভবনের অতিথিশালায় চলে এসেছিলেন। এনেছিলেন কিছু বই। গোটা দেশ জুড়ে আলোড়ন পড়ে গেছিল দু দশকের টানা মুখ্যমন্ত্রী হয়েও একটা ঘর নেই! নীরব মানিক। ত্রিপুরায় তখন বাম দুর্গে দুরমুশ করছে বিজেপি। এরপর বিরোধী দলনেতা হিসেবে সরকারি আবাসন পান তিনি। সেখান থেকেই এবার ভোট দিয়ে এলেন।
বৃহস্পতিবার ভোট গ্রহণ শেষের পর আগামী ২ মার্চ ফল ঘোষণা। সেদিনই মানিক সরকারের সংসদীয় রাজনৈতিক জীবনের একটি পর্ব শেষ হয়ে যাবে। শুরু হবে দলীয় সাংগঠনিক কাজ। কিন্তু ঘরের কী হবে? কোথায় থাকবেন মানিক-পাঞ্চালি? দুজনেই নীরব।
দেশের গরিবতম মুখ্যমন্ত্রী তকমাধারী হয়েছিলেন মানিক সরকার। স্ত্রী সরকারি কর্মচারি। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে মানিক সরকার বলেছেন, ওসব ভাবিনা। কমি়উনিস্ট রাজনীতিতে এসব ভাবার সময় কই। তাহলে থাকবেন কোথায়? উত্তরহীন মানিক।