বিশেষ প্রতিবেদন, ঢাকা: রাতভর হামলা চলেছে বাংলাদেশের রংপুরের বিভিন্ন সংখ্যালঘু হিন্দুপল্লীতে। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় একাধিক বাড়িতে। সোমবার সকাল হতেই ভয়াবহ পরিস্থিতি কতটা তার টের পাচ্ছে বাংলাদেশবাসী।
রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার মাঝি পাড়ায় পরপর বাড়িতে আগুন ধরানো হয়েছে। দুটি গ্রামে ৫০ থেকে ৬০ টি হিন্দু বাড়ি ও মন্দিরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়েছে।
পুড়ে যাওয়া বাড়ির সামনে কাঁদছেন মহিলারা। সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরায় ধরা পড়ছে সেই দৃশ্য। কাঁদতে কাঁদতে এক মহিলারা চিৎকার কেন দুর্গাপূজা আসে গো…!
রংপুরের পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার, ফেনীর পুলিশ সুপার সহ ৭ কর্মকর্তাকে বদলি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, হামলাকারীদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে।
রংপুরে হামলা ও আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পিছনেও সেই ধর্মীয় উস্কানি। অভিযোগ, পীরগঞ্জের স্থানীয় এক কিশোর ফেসবুক পোস্ট করে ধর্মীয় অবমাননা করেছে। এই উস্কানিতেই রবিবার রাতে পীরগঞ্জে পকপর হিন্দু মহল্লায় হামলা হয়। রাতেই জেলা প্রশাসনিক কর্তারা ঘটনাস্থলে যান। বিরাট পুলিশ বাহিনী যায়। হামলাকারীরা পালায়। পরে ফের তারা হামলা চালায়।
দুর্গাপূজায় পরপর হামলার কারণে বাংলাদেশে বিষাদময় পরিবেশ। কোরান শরিফ অবমাননার অভিযোগে কুমিল্লা থেকে শুরু হয়েছিল সাম্প্রদায়িক হামলা। দুর্গাপূজার মধ্যেই চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, নোয়াখালীতে পরপর হামলা চালানো হয়। ধর্মীয় গ্রন্থ অবমাননার অভিযোগে ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদ থেকে বের হওয়া বিক্ষোভ মিছিল ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ গুলি চালায় কয়েকজন মারা যান। আর হামলাকারীদের হাতে খুন হন দুজন। সবমিলে ৬ জন মৃত। এসবের মধ্যেই রংপুরে হিন্দু পল্লীতে হামলার ঘটনা আরও বিতর্ক উস্কে দিয়েছে।