রবিবার বিকেলে ক্যামাক স্ট্রিটে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে দলবদল করলেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল (Suman Kanjilal)। যার ফলে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ঠেকল ৬৯ এ। ঘটনার পরেই অভিষেকের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
এদিন ট্যুইট করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, আপনি কী ভারতীয় সংবিধানের ১০ ধারাকে ভয় পাচ্ছেন? সেকারণেই তৃণমূলের পতাকা হাতে নিলেন না? কারণ, এভাবেই বিধানসভার অন্দরে নিজেকে বিজেপির বিধায়ক বলে দাবি করছেন মুকুল রায়। একইভাবে আপনিও করবেন? এরপরেই অভিষেকের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, বিধানসভার ভিতরেও নিজেকে তৃণমূলের বলে দাবি করুন সুমন৷ স্পিকারকেও এর সঙ্গে যুক্ত করা হোক। এধরনের ঘটনায় বিজেপির কোনও প্রভাব পড়বে না৷
২০২১ সালের নির্বাচনের পরেই মুকুল রায়ের তৃণমূলে যোগদান রাজ্য রাজনীতিতে পরিবর্তন আনে৷ এরপরেই একে একে বিধায়করা তৃণমূলে যোগদান করতে শুরু করেছেন৷ পেশায় সুমন গত ২০২০ সালে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন৷ আলিপুরদুয়ার আসনটিতে অশোক লাহিড়ির পরিবর্তে তাঁকে প্রার্থী করে দল। আলিপুরদুয়ার জেলায় বিজেপির অভুতপূর্ব ফলাফল নিয়ে আলোচনা হয়েছে বিজেপির অন্দরে। এখন দলের অন্দরে ভাঙন ধরালেন সুমন। জানা গেছে, গত তিন দিন ধরে কলকাতায় থাকার পর বিজেপি ছাড়লেন তিনি। এরপরেই তৃণমূলে যোগদান করলেন তিনি।
গত বিধানসভা নির্বাচনে ৭৭ টি আসন পেয়েছিল বিজেপি৷ এখন তার মধ্যে ৬ জন বিজেপিতে যোগদান করেন। দুই জন নিজেদের জয়ী আসন ছেড়ে দেওয়ার পর উপনির্বাচনে জয়লাভ করে তৃণমূল। ফলে বিধায়ক সংখ্যা দাঁড়াল ৬৯এ। যা শুভেন্দুর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। পাশাপাশি শুভেন্দুকে কটাক্ষ করে কুণাল ঘোষ বলেন, শুভেন্দু দলত্যাগবিরোধী এত তত্ত্ব বলার আগে তোমাকে একটা সবিনয় অনুরোধ। এইভাবে সাধারণ মানুষের জন্য টুইট না করে, প্রথমে তুমি বাড়ি যাও। বাড়ি গিয়ে দরজা বন্ধ করে নিজের বাবা আর ভাইকে অ্যান্টি ডিফেকশন সংক্রান্ত নীতি বোঝাও।