গত লোকসভা নির্বাচন থেকে কেশপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছিল। বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রের তৃণমূল জয়লাভ করলেও চিন্তা বাড়াচ্ছিল দলের কোন্দল। শনিবার কেশপুরের সমাবেশ থেকে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে সেই সাবধানতার বার্তা পৌঁছে দিলেন তৃণমূলের সাধারণ সমাপদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। কোনও দাদার তল্পীবাহকতা করে প্রার্থী হওয়া যাবে না।
এদিন কেশপুরের সভা থেকে অভিষেক বলেন, সিপিএমের হার্মাদরা এখন বিজেপির জল্লাদ হয়েছে। লাল জামা ছেড়ে গেরুয়া জামা পরে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। সেই কালো দিন, সেই সন্ত্রাস, সেই গা জোয়ারি, সেই বোম বন্দুকের রাজনীতি আবার কেশপুরে ফিরিয়ে আনতে চাইছে। যারা কেশপুরের রাজনীতি করেন, আপনারা তাঁদেরকে চেনেন কে সিপিএমের, কে তৃণমূলের, কে বিজেপির। কে মানুষের পাশে ছিল? কে ছিল না? আর যারা ভাবছে যে জামা পাল্টে তৃণমূল হয়ে, মানুষের চোখে ধুলো দিয়ে যা ইচ্ছে তাই করে বেড়াব।
তিনি আরও বলেন, সবার ওপর একটা অদৃশ্য চোখ ঘুরে বেড়াচ্ছে। নজর কিন্তু আমি রাখছি। কোথায় কোন গ্রাম প্রধান কী কাজ করছে? কোন অঞ্চল সভাপতি কি কাজ করছে সবটাই নজর রাখছি। আমি হাজার বার সবার সামনে জনসমক্ষে বলেছি, তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের যদি মাথানত করতে হয়, তাহলে আমরা মানুষের কাছে মাথানত করব। কিন্তু তিন চারটে নেতার রেষারেষিতে দলের মাথানত হয়, তাহলে কিন্তু আমি ছেড়ে কথা বলব না। আমি জাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছি।
এরপরেই অভিষেক বলে বসেন, সময় দিচ্ছি এখনও শুধরে যান। নাহলে যে ওষুধ মাই প্রয়োগ করব, সেই ওষুধে কাজ যখন হবে তখন আপনি আর শুধরানোর সময় পাবেন না। এখন থেকে বলা শুরু হয়ে গেছে পঞ্চায়েতে আমি প্রার্থী দেবো। এদিন স্পষ্ট করে অভিষেক বলেন, পঞ্চায়েতে প্রার্থী জেলা সভাপতি দেবে না। ব্লক সভাপতি দেবে না। পঞ্চায়েতে প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেবে। আমি কথা দিচ্ছি।
অভিষেক এদিন স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, আমি প্রতিটা জনসভা থেকে বলেছি মানুষ যেভাবে তৃণমূলকে দেখতে চায়, আমরা সেভাবেই তৃণমূলকে প্রস্তুত করতে বদ্ধপরিকর। সেতাই নতুন তৃণমূল। যে লড়াই সিপিএমকে পরাজিত করেছিল সেই লড়াই ফিরিয়ে আনতে হবে। নিজের কথা নয়, মানুষের কথা ভাবতে হবে। কোনও দাদার তল্পীবাহকতা করে প্রার্থী হবে না। আমি বলে দিয়ে যাচ্ছি।