একাধিক হেভিওয়েট নেতার নাম কাটছে সিপিআইএম

কাটা পড়ছেন তাবড় তাবড় নেতারা। যারা দীর্ঘ সময় ধরে মন্ত্রী ছিলেন তাঁদেরও রেয়াত করছে না ‘লালবাড়ি’। ফলে একাধিক হেভিওয়েট CPIM নেতা ও প্রাক্তন মন্ত্রীর নামের…

কাটা পড়ছেন তাবড় তাবড় নেতারা। যারা দীর্ঘ সময় ধরে মন্ত্রী ছিলেন তাঁদেরও রেয়াত করছে না ‘লালবাড়ি’। ফলে একাধিক হেভিওয়েট CPIM নেতা ও প্রাক্তন মন্ত্রীর নামের তালিকায় পড়ে গেছে লাল দাগ। এ নিয়ে বাম মহলের ক্ষোভ বিক্ষোভ কতদূর তা জানা যায়নি। কারন, কড়া নিয়মে বেঁধে রাখা দলীয় নেতাদের মধ্যে থেকে অন্তর্নিহিত তথ্য বের হওয়ার রেওয়াজ খুব একটা নেই কমিউনিস্ট আদর্শের রাজনীতিতে। ফলে যারা বাদ পড়ছেন তারাও দলীয় নির্দেশ মেনে চলতে রাজি। এই নাম কাটাদের তালিকা কত লম্বা হতে পারে তা নিয়ে চর্চা প্রবল।

ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের (Tripura Election 2023) তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি। এখনও শাসক বিজেপি তাদের প্রার্থী তালিকা দেয়নি। তবে প্রধান বিরোধী দল সিপিআইএম বুধবার তালিকা প্রকাশ করছে। মঙ্গলবার আগরতলায় দলটির রাজ্য দফতর দশরথ দেব স্মৃতি ভবনে দীর্ঘ আলোচনার পর ভোটের প্রার্থী তালিকা তৈরি হয়। সূত্রের খবর, সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক জীতেন্দ্র চৌধুরী সেই তালিকা ধরে কংগ্রেসের সাথে চূড়ান্ত আসন সমঝোতায় অংশ নেন। প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রে খবর, কয়েকটি আসন নিয়ে দুপক্ষের টানাটানি চলছে। তবে এটি জলদি মিটবে।

ভোটের মুখে রাজ্যবাসীর প্রশ্ন গত চারবারের মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার প্রার্থী হবেন কি? রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন মানিকবাবু ভোট থেকে দূরে সরে সাংগঠনিক কাজ নিয়ে থাকতে চান। তবে সিপিআইএম সূত্রে খবর, মানিক সরকার নিজে এমন কিছু বলেননি। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, মানিক সরকারকেই মুখ্যমন্ত্রী মুখ করে ভোটে লড়াই করবে সিপিআইএম। তাঁর পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি রাজ্যবাসীর কাছে সুপরিচিত।

তবে বাদ পড়তে চলেছেন দাপুটে নেতা ও প্রাক্তন মন্ত্রী বাদল চৌধুরীর মতো আরও কয়েকজন। কেউ অসুস্থ, আর কাউকে নবীন প্রজন্মের জন্য জায়গা দিতে হচ্ছে। সবমিলে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে টান টান উত্তেজনা।

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় শূন্য বাম শক্তির একমাত্র আশা এখন কেরল। এ রাজ্যে পরপর দুবার তার সরকার ধরে রেখেছে। এবার ত্রিপুরায় বাম শক্তি ফের সরকারে ফিরতে মরিয়া।