ফুটবলকে বিদায় জানালেন পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী ওয়েলস কিংবদন্তি গ্যারেথ বেল (Gareth bale)।
টটেনহামে লেফট ব্যাক থেকে হুট করে লস ব্লাংকোসদের রাইট উইঙে জায়গা করে নেওয়া- গ্যারেথ বেলের উত্থানটা রূপকথার মতোই। তবে সব রূপকথার শেষটা সুখের হয়না- কোনোটার নাম হয় ট্রাজেডি।
গারেথ বেলের উত্থান পতন যেনো এক অবিশ্বাস্য ট্রাজেডির সফল মঞ্চায়ন। কিয়েভের অভিশপ্ত রাতের ওভারহেড কিক বা টাচলাইনের বাইরের স্প্রিন্টটার জন্য হলেও গ্যারেথ বেলকে ফুটবল সমর্থকেরা মনে রাখবে বছরের পর বছর। ইংল্যান্ড থেকে সুযোগ পেয়েও নিজ দেশের পতাকা বুকে জড়াতে পারে কজন?
টোটেনহ্যামে খেলার সময় তেমন চোখে পড়েনি। আসলে ইংলিশ লীগে তখন চেলসি ও ম্যান ইউ’র দাপট। মাঝে মাজে ফোড়ন কাটে আর্সেনাল। ম্যান সিটি তখন মাঝারি মানের দল আর লিভারপুল দিচ্ছে টাফ টাইম বাকীদের।
হঠাৎ করেই ইতিহাসের পাতায় চলে আসেন বেল। কারন তিনিই প্রথম ফুটবলার যিনি ট্রান্সফার মার্কেটের হান্ড্রেড মিলিয়ন ডলার ম্যান। রিয়াল মাদ্রিদ তাকে দলে ভেড়ায়। ক্লাব ফুটবল ইতিহাসের এক ভয়ংকর আক্রমণ ভাগ বিবিসি (বেল, বেঞ্জেমা ও ক্রিশ্চিয়ানো) রচিত হয় এই ত্রিফলাকে নিয়ে।
ফুটবল জীবনে গ্যারেথ বেল রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, চারবার ক্লাব বিশ্বকাপ, তিনবার লা-লিগা শিরোপাসহ মোট ১৯টি শিরোপা জিতেছেন।
শেষের দিকে এসে ক্লাবে অনেকটাই ব্রাত্য হয়ে পড়েন। অসম্ভব গতি ও দুর্দান্ত কিক বল কন্ট্রোলিং এবং চমৎকার হেডিং সব মিলিয়ে একটা কমপ্লিট ফুটবলার । আমার খুব আশা ছিল, রোনাল্ডো পরবর্তী রিয়াল মাদ্রিদের আক্রমণের মূল দায়িত্ব থাকবে এই গ্যারেথ বেলের হাতে। কিন্তু জিনেদিন জিদানের কোচিংয়ে বেমজেমা চলে আসেন পাদ প্রদীপের আলোয়। আর বেল চলে যেতে থাকেন পর্দার আড়ালে।
খেলার ধরন, বডি ল্যাংগুয়েজ ও জেতার অদম্য ইচ্ছে নিয়ে মাঠ চষে বেড়ানো সে গ্যারেথ বেল অবসর ঘোষণা করলেন সব ধরনের ফুটবল থেকে।