মধুর উপকারিতা: আজকাল সবাই সুন্দর দেখতে চায়। এর জন্য মানুষ বাজারে পাওয়া বিভিন্ন ধরনের বিউটি প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকে। একই সঙ্গে সুন্দর দেখতে বিউটি পার্লারের শরণাপন্ন হন বিপুল সংখ্যক মানুষ। তবে বাজারে পাওয়া বিউটি প্রোডাক্টের অতিরিক্ত ব্যবহারে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হারিয়ে যায়। সেই সঙ্গে ভুল খাওয়া এবং খারাপ রুটিনের কারণে মুখে ব্রণ(Acne) দেখা দিতে শুরু করে। এর কারণে মুখের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়।
সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞদের মতে, তৈলাক্ত ত্বকে বেশি ব্রণ হয়। এই অবস্থায় গ্রন্থি থেকে তেল বের হয়। ধুলাবালি ও দূষণের কারণে তৈলাক্ত ত্বকের ছিদ্রে ময়লা জমতে শুরু করে। এই কারণেই ব্রণ হয়। এ ছাড়া জল কম খেলে পেটের তাপ বাড়ে। এর ফলে ব্রণ ও পিম্পলের সমস্যাও হয়। আপনিও যদি মুখের ব্রণের সমস্যায় ভুগে থাকেন এবং এর থেকে মুক্তি পেতে চান, তাহলে মধু ব্যবহার করতে পারেন। মুখের ব্রণের সমস্যা মধু ব্যবহার করে দূর করা যায়। আসুন, জেনে নেই এ সম্পর্কে সবকিছু-
আয়ুর্বেদে মধুকে ওষুধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এতে অনেক ঔষধি গুণ পাওয়া যায়, যা স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য উভয়ের জন্যই উপকারী। এতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। এই বৈশিষ্ট্যগুলি পরিবর্তনশীল ঋতুতে হওয়া রোগ নিরাময়ে সহায়ক বলে প্রমাণিত হয়। এর জন্য মধু খাবেন। সেই সঙ্গে মুখে মধু লাগালে ব্রণে আরাম পাওয়া যায়। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণের কারণে মুখের ব্রণের সমস্যা চলে যায়। এ জন্য মধু দিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
মুখের দাগ থেকে মুক্তি পেতে মধু এবং দারুচিনি ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য সমপরিমাণে মধু ও দারুচিনি মিশিয়ে মুখে লাগান। এরপর হালকা হাতে মুখে ম্যাসাজ করুন। তারপর স্বাভাবিক পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি মুখের ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
আপনার যদি দারুচিনি থেকে অ্যালার্জি থাকে তবে আপনি মধু এবং আপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করতে পারেন। মধু এবং আপেল ভিনেগার ব্যবহার ব্রণ ও ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।
মুখের ব্রণের সমস্যা দূর করতে বেকিং সোডা ও মধুও ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া মধু ও দইয়ের ব্যবহারও উপকারী।