প্রাক্তন নৌসেনার টুকরো করা দেহ থেকে প্রমাণ সন্দেহ করে বারুইপুর থানার পুলিশের সন্দেহ হয়েছিল এর পিছনে পরিচিত কেউ জড়িত। প্রাক্তন নৌসেনা উজ্জ্বল চক্রবর্তীকে খুনের অভিযোগে তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। (WB Police)
মৃতের ছেলে জয় চক্রবর্তী ও স্ত্রী শ্যামলী চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করার পর তাদের নিয়েই পুলিশ দেহের বাকি অংশ খুঁজছে। এই খুনের ঘটনায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারু়ইপুর জুড়ে চাঞ্চল্য।
- পারিবারিক অশান্তির জেরে খুন?
- কোনও তৃতীয় সম্পর্ক?
- প্রাক্রন নৌসেনাকে টুকরো করে কেটে ফেলা আসলে তীব্র প্রতিহিংসা
প্রাক্তন নৌসেনা উজ্জ্বল চক্রবর্তীর দুটি হাত ও কোমরের নিচের অংশ কাটা দেহাংশ মিলেছিল। প্লাস্টিক দিয়ে আটকানো ছিল মুখ। নির্মমভাবে খুন করা হয় তাঁকে। ৫৪ বছর বয়সী প্রাক্তন নৌসেনার মৃত্যু রহস্যের সমাধান করছে পুলিশ।
বারুইপুর-মল্লিকপুর রোডের ডিহি এলাকার একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছিল উজ্জ্বল চক্রবর্তীর অর্ধেক দেহাংশ। এর জেরে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। বারুইপুর থানার পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
খুনের কারণ নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। মৃতের স্ত্রী গ্রেফতারের পর পর উঠে আসছে পারিবারিক অশান্তি অথবা তৃতীয় কোনও সম্পর্কের সম্ভাবনা। দুটি দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
গত ১৪ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন উজ্জ্বল চক্রবর্তী। নৌসেনা থেকে অূসর নেওয়ার পর তিনি একটি সংস্থায় নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন। কাজ থেকে বাড়ি ফেরার পর বেরিয়ে আর ফেরেননি। পরিবারের সদস্যরা বারুইপুর থানায় এই বিষয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করেন।