রাজ্য শিক্ষা দফতরে নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC TET Scam) মমতার সরকার তীব্র বিতর্কে। দ্রুত নিয়োগের দাবি ধর্মতলায় লাগাতার ধর্না চলছে চাকরি প্রার্থীরা। এরই মধ্যে বিস্ফোরক মন্তব্য শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu)। মন্ত্রী বলেছেন, আন্দোলন করলেই চাকরি মিলবে? এমনটা ভাবার প্রয়োজন নেই।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিরোধী দলের এখন সেটা দেখার সময় এসে গেছে। এভাবে যদি পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ব্যহত করতে থাকে, তাহলে সমাজে কী বার্তা যাচ্ছে? এর ফলে সমাজে নেগেটিভির জন্ম হয়।
শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যের পরই সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, চাকরি লুঠ হয়েছে। কখনও টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে। আবার কখনও টাকা দিয়েও চাকরি দেওয়া হয়নি। আর যারা দোষী তাঁরা বহাল তবিয়তে রয়েছেন। ব্রাত্য বসু অসভ্যের মতো কথা বলছেন। যিনি এখন শিক্ষামন্ত্রী। উনি মন্ত্রীপদে থাকাকালীন প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে চাকরি লুঠ হয়েছে। কিন্তু উনি কিছু করেননি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আদালত যেভাবে বলবে, সেভাবে আমরা নিয়োগ করব। কিন্তু আমাদের নতুন নিয়োগও তো করতে হবে। অতীতের দিকে তাকিয়ে যদি কোন ভুল হয়ে থাকে, তাঁর জন্য যদি সামনের কর্মপ্রক্রিয়া ব্যহত করে তাহলে নতুন প্রজন্মের কাছে আমরা কী উত্তর দেব?
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আন্দোলন করলেই সবাইকে চাকরি দিতে হবে? আন্দোলনের সঙ্গে চাকরির সম্পর্ক কী? চাকরি তো যোগ্যতার ভিত্তিতে হবে! চাকরি তো মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। স্কুল সার্ভিস কমিশন, কলেজ সার্ভিস কমিশন, নেট, অনেকেই নেট পাশ করেন। যারা নেট বা সেট পাশ করেন, তাঁরা সকলেই চাকরি পান? জয়েন্টের যারা ব়্যাঙ্ক করেন সকলেই ডাক্তারি় ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে চান্স পান?
দুর্নীতির অভিযোগে জেল হেফাজতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক সহ একাধিক আধিকারিক। বিপুল নিয়োগ হয়েছে টাকার বিনিময়ে। উদ্ধার হয়েছে কালো টাকার পাহাড়। সিবিআই ও ইডি তদন্তে বেরিয়ে আসছে বিস্ফোরক তথ্য।