নিয়োগ দুর্নীতি ও গোরু পাচার মামলায় ইডি সিবিআই সাঁড়াশি অভিযান চলছে। দুটি ক্ষেত্রে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডলের ম্যারাথন জেরা থেকে টিএমসির (TMC) একাধিক বিধায়ক, মন্ত্রী ও নেতার নাম জানা যাচ্ছে বলে সিবিআই ও ইডি দিচ্ছে ইঙ্গিত। প্রশ্ন উঠছে এবার কার পালা? সূত্রের খবর, পার্থ ও অনুব্রতকে জেরা করে ইতিমধ্যেই দুই মন্ত্রীকে নজরে রেখেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগ। এমনই প্রবল চাপের মুছে তৃণমূলের নেতা, সাংসদ বিধায়করা সরাসরি হুমকি বার্তা দিচ্ছেন বিরোধীদের। তাদেরকেই এবার সাবধান করলেন আইনজীবী (Sabyasachi Chatterjee) সব্যসাচী চ্যাটার্জি।
বিশিষ্ট আইনজীবীর হুঁশিয়ারি “যারা চিল চিৎকার করে মাজা ভেঙে দেবার হুমকি দিচ্ছে তাদের ভালো মন্দ কিছু হয়ে গেলে ‘দল’ কিন্তু দায়িত্ব নেবেনা। তাপস পালের কথা মনে থাকে যেন।তাছাড়া এটা ২০২২। অপরেশন ইললিগ্যাল ওয়েলথ শুরু হয়ে গেছে….
সুতরাং, সাধু সাবধান হয়ে যান।ভদ্রভাবে কথা বলা অভ্যাস করুন।নইলে……… ”
সব্যসাচী চ্যাটার্জি সিপিআইএম সমর্থক আ়ইনজীবী। তিনি সাংসদ ও আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ। বিভিন্ন ইস্যুতে একসাথে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপিকে তুলোধনা করেন।
সিবিআই ও ইডি অভিযানের মাঝে শ্রীরামপুরের তৃ়ণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, দমদমের সাংসদ সৌগত রায়, চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার আক্রমণাত্মক উত্তেজিত ভাষণ দিচ্ছেন। বীরভূম জেলা তৃ়ণমূল সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব ভট্টাচার্য সহ নেতারা বিরোধীদের হুমকি দিচ্ছেন। ভাষণে ‘মাজা ভাঙা’, ‘ধোলাই’, ‘বদলা’, ‘নেংটি ইঁদুর’, ‘চামড়া দিয়ে জুতো’ এমন সব গরম বক্তব্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে।
সিবিআই ও ইডি তৎপরতায় তীব্র আতঙ্কে তৃ়ণমূল শিবির এমনই বলছেন বিরোধীরা। ইডি নজরে রাজ্য সরকারের ১৯ জন বিধায়ক ও মন্ত্রীর সম্পদ বৃদ্ধি। এই তালিকায় সিপিআইএম ও কংগ্রেসের নেতাদের নাম আছে বলে তৃণমূল দাবি করে। সিপিআইএমের বক্তব্য সেই দাবি ভুয়ো। পিটিশন ও নির্দেশ এক নয় জানিয়েছেন আইনজীবী সব্যসাচী চ্যাটার্জি। তাঁর আইনি যুক্তির পরেই সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের চ্যালেঞ্জ, তৃণমূলের বিরুদ্ধেই মানহানির মামলা হবে। এদিকে ইডি তদন্তের জন্য আদালতের নির্দেশ পূনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে আরও বিতর্কে তৃ়ণমূল নেতা মন্ত্রীরা।