স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতিতে তদন্তে নেমে সিবিআইয়ের নজরে ছিল মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও পরেশ অধিকারীর সম্পত্তির পরিমাণ। একদিকে সিবিআইয়ের তরফে মন্ত্রীদের কাছ থেকে চাওয়া হয়েছিল সম্পত্তির হিসেব৷
অন্যদিকে, আয়কর দফতরের কাছ থেকেও মন্ত্রী প্যান কার্ডের নম্বরে কোথায় কত সম্পত্তি রয়েছে, তা জানতে চেয়েছিল সিবিআই। বিপুল আর্থিক দুর্নীতির হদিশ পেতেই এবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগে তদন্তভার তুলে নেয় ইডি।
অবশ্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সম্পত্তি নিয়ে আগেই সন্দেহ করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
মন্ত্রীর আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য ছিল, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সম্পত্তির হিসেব পেশ করা হোক। তাঁর সারমেয়র জন্য যে ফ্ল্যাট আছে, আমার কাছে ঠিকানা আছে। নাকতলায় ফ্ল্যাট আছে, সেটা দ্বিতল। তার হিসাবও পেশ করা হোক। এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সম্পত্তি নিয়ে তখন থেকেই সন্দেহ ছিল সিবিআইয়ের৷ সিবিআইয়ের তরফে বারবার দাবি করা হচ্ছিল, স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতিতে অদৃশ্য কোনও হাত রয়েছে। এরই মধ্যে গত মাসেই সিবিআইয়ের থেকে সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করেছে ইডি৷ আজ সকাল থেকেই শুরু হয়েছে অভিযান। অভিযান চলছে ১৩ টি জায়গায়।
ইডি সূত্রে খবর, সিবিআইয়ের চার্জশিটে নাম থাকা শান্তিপ্রসাদ সিনহা সহ এসএসসির তৎকালীন প্রোগ্রামার সমরজিৎ আচার্য, তৎকালীন চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৌমিত্র সরকার, তৎকালীন সচিব অশোক কুমার সাহা এবং তৎকালীন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম। আজ সকলের বাড়িতেই সকাল থেকে শুরু হয়েছে অভিযান।
তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০(বি), ৪১৭, ৪৬৫ এবং ৩৪ নম্বর ধারায় মামলা করা হয়েছে। শুধু তাই-ই নয়, জামিনঅযোগ্য ৪৬৮ নম্বর ধারাতেও মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে কী আজই গ্রেফতারের সম্ভাবনা? প্রশ্ন মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে।