সরকার মেধাকে রাস্তায় বসিয়ে রেখেছে, আন্দোলন হবেই: মীনাক্ষী মুখার্জি

শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতির জেরে বারবার বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে রাজ্যের শাসক দল তৃ়ণমূল কংগ্রেস৷ চাকরি দেওয়ার নাম করে আর্থিক প্রতারণায় নাম জড়াচ্ছে তৃণমূলের ছোট থেকে বড়…

শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতির জেরে বারবার বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে রাজ্যের শাসক দল তৃ়ণমূল কংগ্রেস৷ চাকরি দেওয়ার নাম করে আর্থিক প্রতারণায় নাম জড়াচ্ছে তৃণমূলের ছোট থেকে বড় সমস্ত স্তরের নেতাদের নাম৷ সেই ইস্যুতে এবার চাঁচাছোলা ভাষায় সরকারকে আক্রমণ করলেন সিপিআইএমের যুব নেত্রী (Minakshi Mukherjee) মীনাক্ষী মুখার্জি।

পশ্চিম বর্ধমামের দুর্গাপুরে মীনাক্ষী বলেন, সরকার বেচতে চাইছে তাই লোকে চাকরি কিনছে৷ সরকার বেচার দোকান খুলে রেখেছে। সরকার যদি চাইত স্থায়ী চাকরি দেব৷ স্থায়ী চাকরি হত৷ সরকার যদি চাইত কলকারখানায় চাকরি হবে। সেখানেই চাকরি দিত। সরকার যদি চাইত আমি ঠিকাতে নিয়োগ না করে সকলকে স্থায়ী চাকরি দেব৷ তাহলে ঠিকা নিয়োগ হত না!

   

তিনি বলেন, সরকার যদি চাইত সঠিক নিয়োগের নোটিশ জারি করব তাহলে কেস হত না৷ সরকার চেয়েছে কেস হোক। সরকার চেয়েছে ছাত্র যুবরা রাস্তায় নেমে লড়াই করুক। সরকার চেয়েছে চাকরি বিক্রি করব, কেউ কিনতে আসুকন সরকার চাকরি কেনা বেচার লোক ঠিক করে দিয়েছে। মেধাদের রাস্তায় বসিয়ে রেখেছে৷ সরকার যা চাইছে তাই হচ্ছে।

পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির ইন্দ্রজিতকে রক্ষায় মেঘ তৈরি করা হচ্ছে: বিকাশ ভট্টাচার্য

সরাসরি রাজ্যের শাসক দলকে কটাক্ষ করে মীনাক্ষীর বার্তা, ভোটে তো আন্দোলন করার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল না। যে আমি সরকারে এলে তোমাদের প্রতিদিন রাস্তায় থেকে লড়াই করার জন্য, মার খাওয়ার জন্য, শহীদ হওয়ার জন্য সুযোগ পাবে৷ সরকারের প্রতিশ্রুতি ছিল আমরা সরকারে এলে তোমরা চাকরি পাবে। যেটা মুখে বলেছিল। সেটা করেনি৷ যেটা করেনি সেটার জন্য আন্দোলন করতে হবে৷ অথচ একটা দলকে সমস্ত অংশের মানুষ ঢেলে ভোট দিয়েছে৷

এরপরেই শাসক দলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মীনাক্ষীর বার্তা, এই গণতন্ত্রের নিয়ম হল যদি আমরা তোমাদের ভোট দিয়ে শাসকের চেয়ারে বসাতে পারি। তাহলে আমার বিরুদ্ধে যাওয়ার জন্য তোমাকে আমরা শাসকের চেয়ার থেকে নামানো এবং তোমাকে কোণঠাসাও করতে পারি। মমতা সরকার বাঘের পিঠে চেপেছে। আগে নামুক, পিছনে নামুক মারা পড়তেই হবে। সেই বাঘ হল ছাত্র যুবরা৷

শিক্ষাক্ষেত্রে এই ব্যাপক দুর্নীতি নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করেছে৷ বেআইনি নিয়োগের জেরে চাকরি হারিয়েছেন বহু কর্মরত মানুষ। সিবিআইয়ের স্ক্যানারে প্রায় ৪৩ হাজার কর্মরত শিক্ষক। মমতা সরকারের আমলে ব্যাপক দুর্নীতির তদন্তে নেমেছে সিবিআই৷ এই ইস্যুকেই হাতিয়ার করে আগামী নির্বাচনগুলিতে জায়গা খুৃঁজে নিতে চাইছে সিপিআইএম৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনের সরকারের কার্যকলাপ তুলে ধরাই হবে প্রধান লক্ষ্য৷