Recipe: বর্ষা ও খিচুড়ি দুটি যেন একে-অপরের পরিপূরক। বৃষ্টির টুপটাপ শুরু হওয়া মানেই মন চায় গরম গরম খিচুড়ি রেঁধে পাত পেড়ে খাই। স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায় এমন চাল-ডালের মিশ্র পদ যেন পরম তৃপ্তি যোগায়। পেট ও মন দুটোই ভরে যায় এতে। তাই বর্ষার শুরুতেই অদ্বিতীয়া ম্যাগাজিন নিয়ে এল নিরামিষ-আমিষ নানা স্বাদের একাধিক খিচুড়ির রেসিপি। যার স্বাদ এবং সুঘ্রাণে জমে উঠবে গোটা বৃষ্টির মরশুম। এই পর্বের রেসিপি ইলিশ খিচুড়ি।
যা যা লাগবে:
মুগ ডাল ১ কাপ, মুসুর ডাল ১ কাপ, বাসমতী চাল ৪ কাপ, ইলিশ মাছ দেড় কেজি, সয়াবিন তেল ১/৩ কাপ, সর্ষের তেল ১/৩ কাপ, দারচিনি ৩টি, এলাচ ৫টি, তেজপাতা ২টি, শাহি জিরে ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, হলুদ গুঁড়ো ১ চা-চামচ, নুন স্বাদ মতো, লঙ্কার গুঁড়ো স্বাদ মতো, আদা বাটা ১ টেবল চামচ, রসুন বাটা ১ টেবল চামচ, সামান্য কাঁচা লঙ্কা, গরম জল ১০ কাপ
কীভাবে রান্না করবেন:
- চাল, মুসুর একসঙ্গে ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিন।
- মুগ ডাল আলাদাভাবে ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিন।
- মাঝারি আঁচে কড়াইতে মুগ ডাল দিয়ে ভেজে নিন। হালকা রঙ ধরলে নামিয়ে নিন।
- ইলিশ মাছ টুকরো করে কেটে নুন, হলুদ ও লঙ্কা গুঁড়ো মাখিয়ে নিন।
- হাঁড়িতে দু’ধরনের তেল একসঙ্গে গরম করে ইলিশ মাছের টুকরোগুলো ভেজে নিন।
- মাছ ভাজা তেলেই দারচিনি, এলাচ, তেজপাতা ও শাহি জিরে ফোঁড়ন দিন।
- এবার পেঁয়াজ কুচি দিয়ে নাড়াচাড়া করুন।
- পেঁয়াজ নরম হয়ে আসলে আদা বাটা, রসুন বাটা, লঙ্কা গুঁড়ো ও হলুদের গুঁড়ো দিয়ে কষুন। সামান্য মজলে ৩-৪ টেবল চামচ জল দিন কষান।
- কষানো হয়ে গেলে জল ঝরিয়ে রাখা চাল-ডালের মিশ্রণ, শুকনো খোলায় ভাজা মুগ, স্বাদ মতো নুন দিয়ে নাড়াচাড়া করুন।
- ভাজা হলে গরম জল দিয়ে ফুটে ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
- ফুটে উঠলে মাঝারি আঁচে ঢেকে রান্না করুন।
- জল শুকিয়ে কাদা কাদা হয়ে এলে অর্ধেক খিচুড়ি তুলে রেখে মাছগুলো দিন।
- মাছের উপর বাকি খিচুড়ি দিয়ে ১০ মিনিট দমে রাখুন।
- গরম গরম পরিবেশন করুণ ইলিশ খিচুড়ি।