পিপলস রিপাবলিক অফ চায়না (China) পাকিস্তানে তার নাগরিক এবং সম্পদ রক্ষার জন্য নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করার পরিকল্পনা করেছে। চিনের এই সিদ্ধান্তে বেশ উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি। বেজিংয়ের এই ধরনের কোনও পদক্ষেপ প্রতিরোধ করার জন্য সময়মত কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত যাতে নেওয়া যায়, সেই চিন্তাভাবনা শুরু করেছে নয়াদিল্লি বলে সূত্রের খবর।
দ্য সানডে গার্ডিয়ানকে নয়াদিল্লির এক বিশেষ কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে “প্রয়োজন হলে, ভারত পাকিস্তান এবং চিনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ নথিভুক্ত করার জন্য কোন সুযোগ ছাড়বে না।” জানা গিয়েছে যে চিন ইতিমধ্যে পাকিস্তানে তার নাগরিকদের এবং বিভিন্ন প্রকল্পের পাশাপাশি সম্পদ রক্ষার জন্য নিজস্ব নিরাপত্তা সংস্থা মোতায়েন করছে। এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, ইতিমধ্যেই বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) এর অধীনে পাকিস্তানে বিশাল তহবিল পাঠাচ্ছে চিন। তবে বেজিংয়ের স্বার্থের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার কারণে এই প্রকল্পের নিরাপত্তা চিনা সরকারের জন্য সবচেয়ে বেশি উদ্বেগের বিষয়। সূত্রের খবর চিনের সিনিয়র কূটনীতিক ইয়াং জেইচি ইসলামাবাদে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল জারদারি ভুট্টোর সাথে এই বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
চিনের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা মন্ত্রক সম্প্রতি পাকিস্তানকে একটি চিনা নিরাপত্তা কোম্পানিকে সেখানে গার্ড মোতায়েনের অনুমতি দিতে বলেছে। প্রস্তাবটি ইসলামাবাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে বিবেচনাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত, গত বছর পাকিস্তান উত্তরের শহর দাসুতে একটি বাসে হামলায় ১০জন চীনা নাগরিক নিহত হয়েছিলেন। করাচির কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটে চীনা প্রশিক্ষকদের উপর এই বছরের হামলা চিনকে তার রক্ষী মোতায়েনের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে প্ররোচিত করে বলেই মনে করা হচ্ছে।