লাদাখে কি ফের চিনা নজর ? পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে লাদাখে (Ladakh) পাঁচ দিনের সফরে নর্দার্ণ কম্যান্ড প্রধান, লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। লাদাখে ভারতের স্ট্র্যাটেজিক অবস্থান খতিয়ে দেখেন তিনি। লাদাখের পূর্ব ও পশ্চিম সেক্টরে ভারতীয় সেনার অপারেশন প্রস্তুতি পর্যালোচনা করেন৷ সেনাদের যে কোনও পরিস্থিতির জন্য সতর্ক থাকতে বলেন তিনি।
যদিও ভারতীয় ভূখন্ডের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা ধরে চিন এখনও পূর্ব লাদাখের কিছু অংশ খালি করেনি। বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর ১৯শে জুন বলেছিলেন যে ভারত চিনের স্থিতাবস্থা পরিবর্তন বা প্রকৃত লাইন পরিবর্তন করার জন্য কোনও অনুমোদন দেবে না। একতরফা ভাবে চিন যেন কোনও অবস্থান পরিবর্তনের চেষ্টা না করে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৫ই জুন গালওয়ান উপত্যকায় পিএলএ সৈন্যদের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে কমপক্ষে ২০ জন জওয়ানকে হারায় ভারত। তারপর থেকে, ভারত ও চিন স্ট্র্যাটেজিক এরিয়া দখলের ঠান্ডা লড়াইয়ে সামিল। চলছে কর্পস কমান্ডার স্তরের একাধিক আলোচনা।
উল্লেখ্য, প্যাংগং লেকের উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্ত, গালওয়ান ভ্যালি ও গোগরা হট স্প্রিং এলাকা নিয়ে ভারত চিন জটিলতা কিছুটা কমেছে। জানা গিয়েছে আপাতত দুই দেশের মধ্যে ইস্যুগুলি হল হট স্প্রিংয়ের ১৫ নম্বর পেট্রলিং পয়েন্ট, দেপসাং ও দেমচকের অচলাবস্থা কাটানো। সূত্রের খবর এখনও পূর্ব লাদাখের এলাকাগুলির সাথে সম্পর্কিত সমস্যার সমাধান হয়নি। হটস্প্রিংয় সংলগ্ন ১৫ নম্বর পেট্রোলিং পয়েন্ট থেকে চিনা সেনাদের সরিয়ে দেওয়া যায়নি। সম্প্রতি কাংকা লা-র কাছে গোগরা হটস্প্রিং এলাকায় রীতিমত ঘাঁটি তৈরি করে অবস্থান করেছে চিনা সেনা।
সেখান থেকে চিনের পিপিলস লিবারেশন আর্মির সদস্যদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া অন্যতম ইস্যু ছিল ভারতের কাছে। একই সঙ্গে দৌলতবেগ-ওল্ডি সেক্টরের ডোপসাং বুলেজ ও চার্ডিং নল্লায় ভারতীয় সেনাদের টহলের অধিকার পাওয়া। উভয় পক্ষই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) বরাবর যুদ্ধবিমান সহ প্রায় পঞ্চাশ হাজার সেনা এবং ভারী সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করেছে।