পয়গম্বর মন্তব্য বিতর্কের জেরে রবিবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল নদিয়া। বেথুয়াডহরি স্টেশনে রানাঘাট-লালগোলা (Ranaghat-Lalgola) প্যাসেঞ্জারে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠক বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। কিছুক্ষণ রানাঘাট-লালগোলা লাইনে বন্ধ থাকে ট্রেন চলাচল। বেথুয়াডহরি হাসপাতাল চত্বরেও দোকানে ভাঙচুরের অভিযোগ। সকলকে শান্তি বহাল রাখার অনুরোধ তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের। অন্যদিকে ক্ষতিপূরণের দাবিতে সরব বিজেপি বিধায়ক জগন্নাথ সরকার।
শুধুমাত্র স্টেশন নয়, স্টেশন লাগোয়া বাড়ি এবং এটিএমে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে৷ ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন দোকানপাটে হামলার অভিযোগ উঠেছে। বিক্ষোভকারীদের তাণ্ডবের প্রতিবাদে এদিন ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে পুলিশ সেই বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ সূত্রে খবর, এই মুহুর্তে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।
তবে ঘটনার পর থেকে বেথুয়াডহরি স্টেশন চত্বর জুড়ে নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই গোটা স্টেশন চত্বর ঘেরাও করেছে আরপিএফ। শুধুমাত্র যাত্রী ছাড়া অন্য কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। একেবারে থমথমে পরিস্থিতি গোটা স্টেশন চত্বর জুড়ে। চলছে পুলিশের টহলদারি।
যাত্রীদের তরফে জানানো হয়েছে, আচমকা পাথর ছোঁড়া শুরু হয়৷ আরপিএফের নির্দেশে জানলা, দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রবিবারের এই ঘটনা ফেরাচ্ছে কিছু বছর আগেকার স্মৃতি। যখন একইভাবে সিএএ বিরুদ্ধে রাজ্যের একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। আজকের ঘটনাতেও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানুতোর।
বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার জানিয়েছেন, দোষিদের অবিলম্বে কড়া শাস্তি দিতে হবে। কোনওভাবেই ছাড় দেওয়া যাবে না৷ সরকারকে অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। যাদের ক্ষতি হয়েছে, রাজ্য সরকার তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেবে।
অন্যদিকে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র জানিয়েছেন, আইন কেউ হাতে তুলে নেবেন না। সকলে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখুন৷ পুলিশ কড়া পরক্ষেপ নেবে। সতর্ক থাকুন, সাবধানে থাকুন।