পৃথক কামতাপুর রাজ্যের সমর্থন নিয়ে জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্তকুমার রায়ের (Jayant Kumar Roy) প্রশংসা করেছিল কেএলও জঙ্গি প্রধান চিফ জীবন সিংহ। সেই পৃথক কামতাপুর রাজ্য নিয়েই আপত্তি জানালেন সাংসদ। এবার তাঁর দাবি শুধু কামতাপুর নয়, যদি রাজ্য করতেই হয় তাহলে পৃথক উত্তরবঙ্গকে রাজ্যের স্বীকৃতি দেওয়া হোক।
বিজেপি সাংসদ বলেছেন উত্তরবঙ্গে কামতাপুরি ছাড়াও বাঙালি, রাজবংশী, গোর্খা, আদিবাসী সহ বহু জনজাতি বাস করেন। তাই পৃথক রাজ্যের ক্ষেত্রে শুধু কামতাপুর রাজ্য নয়, সার্বিকভাবে উত্তরবঙ্গ রাজ্য করাই ভালো।
সাংসদ জয়ন্ত রায় জানান, তৃণমূল সরকার একটি ভাষাকেই রাজবংশী ও কামতাপুরি দুই নামে স্বীকৃতি দিয়ে বিভেদ তৈরি করেছে। যে কারণে উত্তরবঙ্গের সাংসদরা লোকসভায় এই দুটির মধ্যে একটিকেও সংবিধানের অষ্টম তফশিলে অন্তর্ভুক্তি করার প্রস্তাব রাখবেন, সেটাই বুঝতে পারছেন না।এইভাবে চললে কোন রাজ্য সঠিকভাবে এগোতে পারে না।
জয়ন্তকুমার রায়ের দাবি, সব দিক থেকেই অবহেলিত উত্তরবঙ্গ। সেই প্রসঙ্গে উত্তরবঙ্গের জনপ্রিয় খেলোয়াড় ঋদ্ধিমান সাহার কথাও তুলে ধরেন সাংসদ৷তিনি বলেন, ঋদ্বিমান সাহাকে অন্যায়ভাবে দল থেকে বাদ দেওয়া হল,অথচ এর প্রতিবাদ আমরা কেউই করতে পারলাম না। উত্তরবঙ্গকে সবদিক থেকেই পিছিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ সফরের আগে পৃথক কামতাপুর রাজ্যের দাবিতে সরব হয়েছে কেএলও প্রধান জীবন সিংহ। তাকে সমর্থন করে বিজেপি সাংসদ বলেন, উত্তরবঙ্গের মানুষ যে বঞ্চিত, এবিষয়ে কোনও সংশয়ের অবকাশ নেই। বারবার বিভিন্নভাবে জানানো হয়েছে। কিন্তু সরকার এ কথা কানে তোলে না। এখানকার মানুষের প্রতি অবহেলার নজর সে সকলেই জানেন। সেদিক থেকে বিচার করলে জীবন সিংহ উত্তরবঙ্গেরই মানুষ৷ আমার মনে হয় এই দাবি সমর্থন করবে। কিন্তু বুধবার সেই বক্তব্য থেকে সরে দাঁড়ালেন সাংসদ নিজেই।