KKR : ডি ককের শতরান, ব্যর্থ রিঙ্কুর অবিশ্বাস্য লড়াই, বোলিংয়ের লজ্জার ইতিহাস গড়ে বিদায় কেকেআরের

অঙ্কের বিচারে প্লে-অফে যাওয়ার একটা ক্ষীণ আশাকে বাঁচিয়ে রাখলেই এদিন লখনউ সুপার জায়ান্টসের মুখোমুখি হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR)। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে…

kkr vs rcb IPL 2024

অঙ্কের বিচারে প্লে-অফে যাওয়ার একটা ক্ষীণ আশাকে বাঁচিয়ে রাখলেই এদিন লখনউ সুপার জায়ান্টসের মুখোমুখি হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR)। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল। লখনউয়ের পাহাড় সম রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ২ রানে হারল কেকেআর। সেইসঙ্গে এবারের মতো আইপিএল অভিযান শেষ হল নাইট যোদ্ধাদের। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে জয়ের দোরগোড়া থেকে ফিরতে হল নাইটদের।

এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন লোকেশ রাহুল। এরপর ইনিংস জুড়ে শুধু নাইটদের হতশ্রী বোলিং আর কুইন্টন ডিককের বিস্ফোরক ব্যাটিং। ডি ককের ঝড় হয়তো ‍‘শান্ত’ রেখেছিল রাহুলের উইলোকেও। ৭০ বলে ১৪০ করে অপরাজিত থাকলেন প্রোটিয়া উইকেটরক্ষক। হাঁকালেন ১০টি করে ছয় ও চার। অন্যদিকে, ৬৮ রান করতে রাহুল নিলেন ৫১ বল। সেইসঙ্গে এক ইতিহাস গড়ে ফেলল লখনউ। আইপিএলের ইতিহাসে এই প্রথম টানা ২০ ওভাই ব্যাটিং করে গেলেন দুই ওপেনার। ইতিহাসটা নাইটদের বটে। তবে লজ্জার। ক্রোড়পতি লিগের প্রথম দল হিসাবে আগে বোলিং করে বিপক্ষের একটিও উইকেট ফেলতে পারল না কেকেআর।

প্রায় সকলেই রান দেওয়ার প্রতিযোগিতা শুরু করেছিলেন। সবথেকে সফল সুনীল নারিন। ৪ ওভারে তিনি দেন ২৭ রান। টিম সাউদি এবং আন্দ্রে রাসেল দু’জনে মিলে ৭ ওভারে দেন ১০২ রান। যার মধ্যে ৩ ওভারে ৪৫ দেন রাসেল।

জবাবে রাহানের পরিবর্তে ওপেন করতে নামা অভিজিৎ তোমার এবং ভেঙ্কটেশ আয়ারকে ফিরিয়ে শুরুতেই কিং খানের দলকে ধাক্কা দেন মহসীন খান। এরপর নীতিশ রানা মারকাটারি ব্যাটিং করেন। ২২ বল খেলে তাঁর অবদান ৪২। স্যাম বিলিংসকে সঙ্গে নিয়ে শ্রেয়াস আয়ারও চেষ্টা করেন দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যাওয়ার। ২৯ বলে ৫০ রান করে স্টোইনিসকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন নাইট অধিনায়ক। বিলিংস ফেরেন ২৪ বলে ৩৬ রান করে।

রানের পাহাড় মাথায় নিয়ে নাইট সমর্থকদের বিপুল প্রত্যাশার চাপ সামলানো সম্ভব ছিল না রাসেলের পক্ষে। তবে অসাধ্য সাধন করার একটা মরিয়া প্রয়াস করেন নারিন এবং রিঙ্কু সিং। কিন্তু শেষ ওভারে ২১ রান তোলা তাঁদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। প্রথম দুই বলে স্টোইনিসকে চার এবং ছয় হাঁকান রিঙ্কু। তৃতীয় বলে ফের ছক্কা মেরে ম্যাচ হাতের মুঠোয় নিয়ে আসেন তিনি। কিন্তু ২ বলে যখন ৩ রান বাকি ছিল, তখন এভিন লুইসের ধরা একটা অবিশ্বাস্য ক্যাচ প্যাভিলিয়নের পথ দেখায় এই বাঁহাতি তরুণকে। মাত্র ১৫ বলে ৪০ রান করে ট্র্যাজিক নায়ক বনে যান রিঙ্কু। শেষ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৩ রান। উমেশ যাদবকে বোল্ড করে দেন স্টোইনিস।

শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট খুইয়ে ২০৮ রানে থামে নাইটদের ইনিংস। সেইসঙ্গে এবারের মতো আইপিএল যাত্রাও। নারিন ৭ বলে ২১ রানে অপরাজিত থাকেন। লখনউয়ের হয়ে বাঁহাতি পেসার মহসীন খান ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ২০ রানের বিনিময়ে নেন তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। দুই ওপেনারকে ছাড়াও আন্দ্রে রাসেলকে সাজঘরের পথ দেখান তিনি। নাইটদের হারিয়ে প্লে-অফও নিশ্চিত করল লখনউ।