ঐতিহাসিক জ্ঞানবাপী মসজিদে (Gyanvapi Mosque) শিবের মূর্তি দাবি ঘিরে যে কোনওরকম উত্তেজনা রুখতে তৈরি বারাণসী প্রশাসন। মসজিদ চত্বরে থাকা হিন্দু মন্দিরে সারাবছর পুজাপাঠ হবে কি না সেই বিষয়ে অনুমতি চেয়ে মূল মামলা শুরু হওয়ার কথা। এরই মধ্যে নিম্ন আদালতের তৎপরতার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে জরুরি শুনানির আর্জি জানিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার জ্ঞানবাপী মসজিদ সার্ভের তৃতীয় দিনে মসজিদ চত্বর থেকে ১২ ফুট আট ইঞ্চির শিবলিঙ্গ উদ্ধারের দাবি জানানো হয় বারাণসী কোর্টে। আইনজীবীর দাবির সত্যতা খতিয়ে দেখতে তৎক্ষণাৎ নির্দিষ্ট জায়গাটি সিল করার নির্দেশ দেয় বারাণসী আদালত। ওই এলাকায় কড়া নিরাপত্তার কথা জানিয়েছে আদালত। আদালতের নির্দেশ জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনার এবং সিআরপিএফ কম্যান্ডেন্ট ওই এলাকার দায়িত্বে থাকবেন।
বারাণসীর জ্ঞানবাপীতে মসজিদে উদ্ধার হয়েছে ফোয়ারা। এমনটাই দাবি করছেন মসজিদ কর্তৃপক্ষের আইনজীবী। তিন দিনের সার্ভে শেষের পর বারাণসী আদালতে রিপোর্ট জমা পড়ার কথা থাকলেও দুই দিনের সময় চেয়েছে কোর্ট কমিশন।
মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি, যা নিয়ে এত হইচই তা আসলে একটি ফোয়ারা। যা সমস্ত মসজিদেই থাকে। অন্যদিকে, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দাবি জ্ঞানবাপী চত্বরে হিন্দু ধর্মীয় স্থানের চিহ্ন মিলেছে। মসজিদ চত্বরে থাকা একটি পুকুরের সমীক্ষা করেন কমিশনের সদস্যরা। পুকুরের জল দিয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা ওজু আচার পালন করতেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।
গত বৃহস্পতিবার বারাণসীর আদালতের সার্ভে করার নির্দেশের বিরোধীতা জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় মসজিদ কর্তৃপক্ষ। সমীক্ষার কাজ অবিলম্বে স্থগিতের নির্দেশ দিক উচ্চ আদালত। প্রধান বিচারপতি এনভি রামানার বেঞ্চে আর্জি জানানো হয়। কিন্তু প্রধান বিচারপতি রামানা বলেন, বিষয়টি না জেনে এভাবে স্থগিতাদেশ দিতে পারি না। আপনারা মামলা দায়ের করুন। আমরা দ্রুত শুনব আপনাদের আর্জি। সেইমতো আজ বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও পিএস নরসিমার বেঞ্চে রয়েছে মামলার শুনানি।