নিউজ ডেস্ক: তালিবান ইস্যুতেই মুখ খুলুক ভারতীয় মুসলিমসমাজ, বিরুদ্ধাচারন করুক আফগানিস্তানের অবস্থার। এই উদ্যোগই এবার নিচ্ছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। পড়শি দেশে তালিবানের ক্ষমতা দখল এবং তাতে ভারতের বিপদের সম্ভাবনার নিয়ে সোমবার দেশের মুসলিম সমাজের কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে মুম্বইয়ে বৈঠকে বসবেন RSS-প্রধান মোহন ভাগবত।
আরও পড়ুন তালিবানদের বিরুদ্ধে সরব হোক দেশের মুসলিমরা: RSS
যখন তালিবান ইস্যু নিয়ে নড়েচড়ে বসছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ, ঠিক তখনই আরএসএস’এর সঙ্গে তালিবানের তুলনা করলেন জাভেদ আখতার। তালিবান এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ একই কয়েনের দুটি পিঠ বলে কার্যত বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই দেশের প্রবীণ শিল্পীর মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া। শুধু নেটিজেনরাই নন, হাত জোড় করে জাভেদকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপি নেতা রাম কদম।
আরও পড়ুন শিল্পেই বিপ্লব: তালিবানদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে কাবুলের গ্রাফিতি শিল্পী শামসিয়া হাসানি
আরও পড়ুন নজরে নীলছবি, আফগান পর্নস্টার খুঁজে পেলেই মাথা কাটবে তালিবানরা
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জাভেদ আখতার বলেন, ‘‘তালিবান যেমন ইসলাম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তেমন আর একদল মানুষও হিন্দু রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। এরা একই মানসিকতার। তালিবান বর্বর। যাঁরা আরএসএস, বজরং দলকে সমর্থন করেন, তারাও বর্বরই।” তাঁর এই মন্তব্যের পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন নেটনাগরিকরা।
Javed Akhtar compared Taliban with RSS because he is an atheist who only eats haIaI meat.
— desi mojito 🇮🇳 (@desimojito) September 5, 2021
আরও পড়ুন তালিবানদের বিপ্লবী আখ্যা দিয়ে বিপাকে কংগ্রেস বিধায়ক আনসারি
আরও পড়ুন শরিয়তি আইনে চলা আফগানিস্তান থেকে উইঘুর মুসলিমদের চিনে পাঠাবে তালিবান
https://twitter.com/AdvAshutoshDube/status/1434136441571926023?s=20
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের মতো একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তালিবানের তুলনা করে জাভেদ অসংখ্য মানুষের ভাবাবেগে আঘাত করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই বিজেপি নেতা। স্বয়ংসেবক সংঘের কর্মীদের এবং অনুগামীদের কাছে বলিউডের প্রবীন শিল্পী ক্ষমা না চাইলে ভারতের মাটিতে তাঁর একটি ছবিও মুক্তি পাবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
In a country where majority r Hindus..
Ppl like Javed Akhtar oppose the idea of Hindu Rashtra..
V make them famous by liking their songs,movies n ensure their families r safe in our country..
Can they say the same thing in Pakistan or taliban n get away?
R we milking a snake?— nitesh rane (@NiteshNRane) September 5, 2021
https://twitter.com/Alleged_RW/status/1434199630888116224?s=20
তালিবানরা আফগানিস্তান দখল করার পর সে দেশের প্রায় প্রতিটি প্রান্তেই কায়েম হচ্ছে শরিয়তি আইন। ইসলামের আদেশ অনুসারেই চলছে দেশ। ২০০১ সালের আগে তালিবান যখন আফগানিস্তান শাসন করত, তখনও তারা কঠোর শরিয়া আইন জারি করেছিল। এবারেও আগের ছবিই দেখা যাচ্ছে গোটা দেশ জুড়ে।